বছরে ১৫ বার দুবাই যাত্রা বাংলার প্রভাবশালীদের, কারণ জানতে তদন্তে ইডি

বছরে ১৫ বার দুবাই যাত্রা বাংলার প্রভাবশালীদের, কারণ জানতে তদন্তে ইডি

রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই দুর্নীতি মামলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল কয়লা পাচার। এই মামলার তদন্তে যুক্ত রয়েছে ইডি। এবং সেই তদন্ত থেকেই ইডির হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। এই রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী নেতা ২২ বার পর্যন্ত বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এক এক বছরে। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যকার সময়ের তথ্য থেকে এটা জানতে পেরেছে ইডি। এর মধ্যে সর্বাধিক বার দুবাইতে ভ্রমণ করেন বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই আবহে কেন এতবার বিদেশে যেতে হচ্ছে প্রভাবশালীদের, এই নিয়ে তদন্ত শুরু করছে ইডি।

এদিকে প্রভাবশালীদের বিদেশ যাত্রার অধিকাংশ টিকিট কাটা হয়েছে মধ্য কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে। সেই সংস্থার অফিসে সম্প্রতি অভিযান চালিয়েছে ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে সেই ভ্রমণ সংস্থার দুই অংশীদারকে দিল্লিতে তলব করে জেরা করা হয়েছে। এই আবহে ইডি কর্তাদের দাবি, ব্যবসায়ীরাও এত সংখ্যক বার বিদেশে যান না, যতবার এই প্রভাবশালীরা বিদেশে গিয়েছেন। এদিকে প্রভাবশালীদের দুবাই যোগের বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। উল্লেখ্য, কয়লা পাচারকাণ্ডে যুক্ত তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্র নিজে বহুবার বিদেশে যেতেন। তিনি পাচারের টাকা বিদেশে রাখতে যেতেন। এই আবহে ইডির নজরে থাকা প্রভাবশালীদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

ইডির নজরে থাকা প্রভাবশালীরা কে? ইডি সূত্রে সরাসরি কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, এক সাংসদ, তাঁর হিসাবরক্ষক ও তাঁদের দু’জনের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এদিকে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রভাবশালীদের বিদেশ ভ্রমণের কারণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে, চিকিৎসার প্রয়োজনেই এই ঘনঘন যাত্রা। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, যদি কয়লা পাচারের টাকা হাওয়ালা মারফত ভিনদেশে পাঠানো হয়ে থাক, তাহলে এই মামলায় জড়িত প্রভবশালীদের এতবার বিদেশে যাওয়ার কারণ কী? প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে ইডি দাবি করেছে, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। বিদেশের সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে সেই টাকা। আবার ঘুর পথে তা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে কেনা হয়েছে সম্পত্তি।

ইডি জানিয়েছে, জেরায় অনুপ মাঁঝি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, পাচারকারীদের সঙ্গে প্রভাশালী নেতাদের যোগসূত্র ছিলেন বিনয় মিশ্র। তিনি পাচারের টাকা প্রভাবশালীদের আত্মীয়র নামে বিদেশে পাচারের ব্যবস্থাও করতেন। এই আবহে প্রভাবশালীদের ঘনঘন বিদেশ যাত্রার বিষয়টি নিয়ে গভীরে গিয়ে তদন্ত করছে ইডি।

(Feed Source: hindustantimes.com)