Cricket
oi-Koushik Chakraborty
আইপিএল ২০২২-এ অভিযান শেষ হয়ে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। কলকাতায় আয়োজিত এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালরের বিরুদ্ধে ১৪ রানে হেরে আইপিএল অভিযান শেষ হয়ে গেল লখনউ-এর। অপর দিকে, এই জয়ের ফলে ্দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আরসিবি’র ২০৭/৪ রানের জবাবে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯৩/৬ রানে।
এ দিন ইডেন গার্ডেন্সে এলিমিনেটর ম্যাচে প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের দখলে। রজত পাতিদারের অবিশ্বাস্য শতরান আরসিবি’কে সাহায্য করে এই ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিতে। এ দিন ম্যাচের প্রথম বলে গোল্ডেন ডাকে ফাফ ডু প্লেসিস আউট হলে আরসিবির ইনিংসের দায়িত্ব তুলে নেন পাতিদার এবং বিরাট কোহলি। প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট আউট হন ২৫ রানে।
তবে বিরাটের উইকেটের প্রভাব বিশেষ পড়েনি আইরসিবির ইনিংসে। এ দিন ৫৪ বলে ১১২ রানের ইনিংস আসে পাতিদারের ব্যাট থেকে। ১২টি চার এবং ৭টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ট্রাইক রেট ২০৭.৪১।
পাতিদার ছাড়া শেষের দিকে ব্যাঙ্গালোরের ইনিংসে দীনেশ কার্তিক করেন ২৩ বলে অপরাজিক ৩৭ রান করেন তিনি। পাঁচটি চার এবং একটি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন তিনি। এই ম্যাচে লখনউয়ের হয়ে একটি করে উইকেট পান মহসিন খান, রবি বিষ্ণোই, ক্রুণাল পান্ডিয়া এবং আভেষ খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে দুই ব্যাটসম্যানের উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ। অনবদ্য শতরান করে এলিমিনেটরের আগে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো কুইন্টন ডি কক মাত্র ৬ রানে আউট হন এবং ১৯ রানে আউট হন মনন ভোরা। দুই উইকেট হারানো লখনউকে মাস্ট উইন ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন কে এল রাহুল এবং দীপক হুডা। তবে ২৬ বলে হুডার ৪৫ রানের ইনিংস শেষ হওয়ার পরই চাপে পড়ে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের ইনিংস। মার্কাস স্টইনিসও নির্ভরতা দিতে পারেননি গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে। এভিন লুইস তো ব্যাটেই বল ঠেকাতে পারছিলেন না গোটা ইনিংসে। অপরাজিত ২ রান করেন তিনি ৬ বল খেলে। কে এল রাহুল ৭৯ রানে আউট হওয়ার সঙ্গেই প্রায় শেষ হয়ে যায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দলের কোয়ালিফায়ার ২ খেলার স্বপ্ন। এ দিন এভিন লুইসকে ছয় নম্বরে কেন ব্যাটিং করতে নামানো হল তাই বড় প্রশ্ন। লুইনকে যদি প্রথম উইকেট হারানোর পরই নামানো হতো তা হলে অন্য রকম হতে পারতো।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে তিনটি উইকেট পান জস হ্যাজেলউড। একটি করে উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং হর্ষল প্যাটেল।
(Source: oneindia.com)