মানুষ ছাড়া কেমন অবস্থা হবে এই পৃথিবীর? উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য, জানলে আশ্চর্য হবেন

মানুষ ছাড়া কেমন অবস্থা হবে এই পৃথিবীর? উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য, জানলে আশ্চর্য হবেন

আজও বহু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিজ্ঞান। আজও এমন কিছু প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে যা খুঁজছেন বিজ্ঞানিরা। সেই রকমই আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল মানুষ পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলে কী হবে?  কেমন হবে মানুষ ছাড়া পৃথিবী?

এই প্রশ্নের উত্তরে, আমরা সত্যিই জানতে চাই যে মানুষ পৃথিবীকে কতটা বদলে দিয়েছে এবং মানুষ ছাড়া পৃথিবী কল্পনা করা সম্ভব কি না, আসুন জেনে নিই এই বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

আমরা এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করার চেষ্টা করছি যেখানে আজকের পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী থাকবে কিন্তু সেখানে শুধু মানুষই থাকবে না যারা সমগ্র পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে, নিজেদের একটি আলাদা বাস্তুতন্ত্রও তৈরি করেছে।

হঠাৎ করে যদি মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায়, তবে কেমন হবে এই পৃথিবী? মানুষের বানানো এত জিনিসের কী হবে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কমিউনিটি অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড আরবান ডিজাইনের সহযোগী অধ্যাপক কার্লটন বাসম্যাগিয়ান তাঁর নিবন্ধে এই প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিয়েছেন, কার্লটন জানিয়েছেন “যদি এমন কোনও পৃথিবীতে যাই যেখানে প্রায় এক বছর মানুষ থাকেনি সেখানে এক চরম শান্তি থাকবে কারণ পৃথিবীতে মানুষের কার্যকলাপ এবং তাদের কোলাহল থাকবে না। গাড়ি, কারখানা,  যন্ত্রপাতিসব বন্ধ থাকবে।

পৃথিবীতে মানুষ না থাকলে আবহাওয়ারও বিপুল পরিবর্তন আসবে। আকাশ আরও পরিষ্কার এবং নীল দেখাবে কারণ দূষণ থাকবে না এবং বায়ুমণ্ডল আবার আগের মতো দূষণমুক্ত থাকবে।

বে এই পৃথিবীতে জল ও বিদ্যুৎ থাকবে না কারণ তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। জলের জন্য পাশের নদী পুকুরের আশ্রয় নিতে হবে। ঘর-বাড়ি অন্ধকার থাকবে। বিভিন্ন ঘর বাড়ি অত্যন্ত অপরিষ্কার হবে মাকড়সার জাল বাসা বাঁধবে। পার্ক ও রাস্তার দুপাশে এলোমেলোভাবে ঘাস ও গাছপালা দেখা দেবে। বিভিন্ন জায়গায় আগাছা দেখা দেবে।

প্রকৃতি মানুষের তৈরি সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব করবে এবং মানুষের ইতিহাস তৈরি হতে শুরু করবে। তবে আরও একটি বিষয়ও দেখা হবে। জীবের সংখ্যা অনেক বাড়বে, হঠাৎ করে অনেক এলাকা বনে পরিণত হতে শুরু করবে, যেখানে প্রাণীরা তাদের নিজেদের ইচ্ছামত দখল করতে শুরু করবে।

কুকুর, বিড়াল এবং অন্যান্য শহুরে প্রাণীর সংখ্যা বাড়বে। এগুলি ছাড়াও, অনেক নতুন প্রজাতির বিকাশ শুরু হবে কারণ প্রাকৃতিক আবাসস্থল পরিবর্তিত হবে। ঋতু পরিবর্তন হবে। কৃত্রিম স্থানগুলি প্রাকৃতিক জায়গায় পরিবর্তিত হবে এবং একই সময়ে জীবের মধ্যে অস্তিত্বের সংগ্রাম তীব্র হবে। “

(Feed Source: news18.com)