‘আরও বেশি হতো পেট্রোলের দাম…’, কেন? বোঝালেন বিদেশমন্ত্রী

‘আরও বেশি হতো পেট্রোলের দাম…’, কেন? বোঝালেন বিদেশমন্ত্রী

নয়াদিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বড়সড় প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে। ইউরোপের অর্থনীতিতে নানা প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই দ্বন্দ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকাও। কিন্তু প্রতিবারই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। এই আবহে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি করা নিয়েও নানা সময় প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। প্রতিবারই সেই প্রশ্নের চোখা এবং তীক্ষ্ণ উত্তর দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

রাশিয়া বা ইউক্রেন- খোলাখুলি কারও পক্ষেই না গিয়ে বরাবর শান্তির পক্ষে বার্তা দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি একই সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনও বেড়েছে। সেই সব প্রসঙ্গই উঠে এল নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে। ওই প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের সঙ্গে একটি আলোচনায় খোলাখুলি একাধিক বিষয় তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী।

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন কেন এত বৃদ্ধি হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার বাণিজ্যিক লেনদেন মূলত হতো পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের পর তা কার্যত বন্ধ। সেই কারণেই এশিয়ার দিকে ঘুরেছে রাশিয়া। এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে রাশিয়ার। ইউক্রেনের যুদ্ধের আগে ভারত-রাশিয়ার বাণিজ্যিক লেনদেন ছিল ১২-১৪ বিলিয়ন ডলার। গত বছর যা ৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’

ANI সূত্রের খবর, এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছেন, ‘এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন হচ্ছে। আমাদের অত ভাবা উচিত নয় ওরা অন্য় দেশের সঙ্গে কী করছে। আমাদের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল রাখা এবং দেখা সেটা ভারতের স্বার্থসিদ্ধি করছে কি না।’

দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ও নির্ভর করে কোনও দেশের বিদেশনীতির উপর, এমনটাই মত বিদেশমন্ত্রীর। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জ্বালানির দামের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভাল বিদেশনীতি ছাড়া পেট্রোলের দাম (Petrol Price) আরও চড়া হতো। রান্নার তেলের (Edible Oil) দাম আরও চড়া হতো। পরের আইফোন যেটা আপনারা কিনবেন তা আরও বেশি হতো।’

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা এবং তার সহযোগী একাধিক দেশ। সেই আবহে রাশিয়া থেকে কম দামে অপরিশোধিত তেল কিনেছে। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিস্তর সমালোচনার পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রীর মতে, দেশের মানুষের জন্য যেটা ভাল হবে, যেটা ভাল দর হবে সেটা গ্রহণ করা ভারত সরকারের কাজ। এর আগেও এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়নের তেল কেনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

(Feed Source: abplive.com)