ইমোজির জেরে ৫০ লাখ জরিমানার নির্দেশ বিচারপতির, কেন এমন রায়

ইমোজির জেরে ৫০ লাখ জরিমানার নির্দেশ বিচারপতির, কেন এমন রায়

একটি লাইকের ইমোজি যাকে আরেক কথায় থাম্বস আপ ইমোজিও বলা হয়। সেই ইমোজির জেরেই ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হল কানাডার এক কৃষি সংস্থাকে। সম্প্রতি সেই দেশের আদালতে ওঠা একটি মামলায় এমনটাই রায় দিল বিচারপতি। তবে কেন এই রায় তা জানতে একটু আগের গল্পও শোনা জরুরি। কিছুদিন আগে ওই কৃষি সংস্থার সঙ্গে একটি ফসল ক্রয়কারী সংস্থার বিশেষ চুক্তি হয়। সেই চুক্তি কোনও কাগজপত্রে লিখিতভাবে হয়নি। বরং তা হয়, চ্যাটের মধ্যে। ফসল ক্রয়কারী সংস্থার তরফে একটি চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছিল ওই কৃষি সংস্থাকে। সেই চুক্তিপত্র পাঠানো হয় ফোনে। চুক্তিপত্রের সেই ছবি দেখেই তাতে থাম্বস আপ ইমোজি রিপ্লাই দেয় কৃষি সংস্থা। এই থাম্বস আপ ইমোজি দেখে ফসল ক্রয়কারী সংস্থাও নিশ্চিন্ত হয় যে ঠিক সময় তাঁরা ফসল কিনতে পারবে।

কিন্তু গোল বাঁধে এর পর। নির্দিষ্ট সময় পর যখন ফসল ক্রেতারা কৃষি সংস্থার কাছে যান, তাদের ফসল দিতে অস্বীকার করে এই সংস্থা। থাম্বস আপ ইমোজি মানেই চুক্তিপত্র মেনে নেওয়া নয়, এমনটাই জানায় কৃষি সংস্থা। সেই থেকে মামলা পর্যন্ত গড়ায় এই বিবাদ। থাম্বস আপ ইমোজির কী অর্থ তা জানতে ইজরায়েল, নিউ ইয়র্ক, কানাডার বেশ কয়েক বিচারব্যবস্থায় খোঁজখবর চলে। অবশেষে কানাডার সাসকাচেয়ান আদালতের বিচারপতি জানান, এই থাম্বস আপ ইমোজির মানে চুক্তিপত্রে সায় জানানো। অর্থাৎ ওই কৃষি সংস্থার এই পত্রে সায় ছিল। তাই ফসল ঠিক সময়ে সরবরাহ করতে না পারায় জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ লাখ টাকার সমান।

প্রসঙ্গত, আদালতে সাউথ ওয়েস্ট টার্মিনাল নামের ওই ফসল ক্রয়কারী সংস্থা তাদের সমর্থনে বলে, থাম্বস আপ ইমোজি মানে চুক্তিপত্রে সমর্থন জানানো বা সেই চুক্তিপত্রের শর্তগুলি মেনে নেওয়া। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কৃষি সংস্থা সুইস কারেন্ট সংস্থার প্রধান ক্রিস আখটার সেই শর্ত মানেননি। এমনকী চুক্তিপত্রে যে তাঁর সমর্থন রয়েছে, সে কথাই অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে ক্রিস আখটারের দাবি, থাম্বস আপ ইমোজিটি চুক্তিপত্র পেয়েছেন বা দেখেছেন এই অর্থে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতে সম্মতি জানাতে নয়। তবে এই দিন বিচারপতি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন এই ইমোজির মানেই হল মেনে নেওয়া।

(Feed Source: hindustantimes.com)