ইস্তাম্বুল: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শনিবার ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি এই জোটের অংশ হওয়ার যোগ্য। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান এই বিবৃতি দেন। জেলেনস্কি ইউক্রেনের সামরিক জোটের অংশ হওয়ার জন্য সমর্থন জোগাতে ইউরোপীয় দেশগুলিতে ভ্রমণ করছেন। ন্যাটো নেতারা আগামী সপ্তাহে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে মিলিত হবেন, যেখানে তারা জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সমর্থন প্রদর্শন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তুরস্ক ন্যাটোতে সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির বিপক্ষে
এরদোগান বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার অধিকারী। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে তুরস্ক এমন এক সময়ে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে যখন তারা এই সামরিক জোটে সুইডেনকে অন্তর্ভুক্ত করার চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে দ্বিধা করছে। এতে বলা হয়েছে, সুইডেন কুর্দি জঙ্গি ও অন্যান্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে কাজ করছে না যেগুলোকে আঙ্কারা তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড গত বছর তাদের নিরপেক্ষতার কয়েক দশকের নীতি পরিত্যাগ করে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে।
‘রাশিয়া এমন আচরণ করে যেন পুরো কৃষ্ণ সাগরই তার’
তুরস্কের সংসদ ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ অনুমোদন করেছে। এরদোগান আরও বলেছেন যে তিনি তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি শস্য চুক্তি সম্প্রসারিত করার জন্য কাজ করছেন যার অধীনে ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে 30 মিলিয়ন টন শস্য রপ্তানি করছে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে 17 জুলাই। রাশিয়া তার শস্য ও সার রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করেছে। জেলেনস্কি রাশিয়াকে জাহাজ চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া এমন আচরণ করছে যেন পুরো কৃষ্ণ সাগরই তার এবং এটি তার মালিক।’
(Feed Source: indiatv.in)