‘একটা অংশ অযোগ্য, আরেকটি অংশ মজা দেখছে, পুলিশকে আক্রমণ TMC বিধায়কের

‘একটা অংশ অযোগ্য, আরেকটি অংশ মজা দেখছে, পুলিশকে আক্রমণ TMC বিধায়কের

কলকাতা: ভোট-হিংসার জন্য এবার পুলিশকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। ‘অযোগ্য পুলিশ আর মজা দেখা পুলিশের জন্যই এই ঘটনাগুলি ঘটেছে। পুলিশের একটা অংশ অযোগ্য, আরেকটি অংশ মজা দেখছে। যারা মজা দেখছে, তারা সরকারকে হেয় করতে চায়। তারা আমাদের সরকারের বিরোধী শক্তি। মন্তব্য তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের।

৩৭ দিনে ৪৯। এটাই ভোট-সন্ত্রাসে বলির স্কোরকার্ড। রক্তস্নাত পঞ্চায়েত ভোট। একের পর এক মৃত্যু। ঝরছে রক্ত। স্বজন হারানোর কান্নায় ভারী হচ্ছে বাতাস। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত, মৃত্যু হয়েছে ২১ জন তৃণমূল কর্মীর। এবার, সেই আক্ষেপের কথাই ঝরে পরল তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের গলায়। তাপস রায় বলেন, “এই যে ঘটনাগুলো ঘটল, আমি কিন্তু কখনও বলব না আমি শাসকদলের প্রতিনিধি হিসেবে আমি বলব, না হলেই ভাল হত। আমি শাসকদলের প্রতিনিধি হিসেবে বলব যে দায়টা আমাদের সবচেয়ে বেশি। এই যে আমরা আমরা আমাদের কর্মীদের, ভাইদের, সহকর্মীদের রক্ষা করতে পারলাম না, এটাও কি যন্ত্রণার নয়? এটা কি দুঃখের নয়? এই দায় তো আমাদেরই।’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে মালদার ভগবানপুর। নদিয়ার চাপড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে খুন হয়েছেন তৃণমূলকর্মীরা। এই প্রেক্ষাপটে, এবার ভোট হিংসার জন্য পুলিশের একাংশকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তিনি বলেন, “ইনকম্পিটেন্ট পুলিশ আর মজা দেখা পুলিশ এই দুটো মিলে এই হাল করেছে। নাহলে এটা হত না। কিছু পুলিশ তারা অকর্মণ্য, অপদার্থ, ইনকম্পিটেন্ট। আরেকটা হচ্ছে মজা দেখছে, সেগুলো অপোজ টু আস। এটা আমাদের দলের বা এই সরকাকে হেয় করে। আমাদের সরকারের বিরোধী শক্তি। তারা এই সমস্ত জায়গাটাতে আসে,আসার কথা নয়।’’

এর আগে, তৃণমূলের একাধিক বিধায়কের গলাতেও শোনা গেছিল একই সুর। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, “দিদি আজকে মুখ্য়মন্ত্রী, দিদি আজকে পুলিশমন্ত্রী। কেন মুর্শিদাবাদে খুনের রাজনীতি হবে? আমরা চাই, মুর্শিদাবাদের মানুষ তাদের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে। স্বার্থান্বেষী তৃণমূল কংগ্রেস, যাদের হাতে এই জেলার দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে, তারা এখানে ভোটে হেরে এখানে তারা মানুষের অধিকারকে খর্ব করার চেষ্টা করছে।’’ একইভাবে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, “আমি আগে থেকে বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্লিজ, আপনি পুলিশ ও প্রশাসনের হাত বেঁধে রাখবেন না। খুন হয়ে যাচ্ছে পুলিশের সামনে। সেখানে পুলিশ নীরব দাঁড়িয়ে আছে।’’

(Feed Source: abplive.com)