‘বিধায়ককে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে যেতে দিতে বাধা কোথায় ?’ পুলিশের সঙ্গে বচসা নৌশাদের

‘বিধায়ককে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে যেতে দিতে বাধা কোথায় ?’ পুলিশের সঙ্গে বচসা নৌশাদের

কলকাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু। ভোট গণনার সময়ও অশান্ত হয়েছিল ভাঙড়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই মুহূর্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভাঙড়ে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আর যে ‘কারণে’ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে যেতে গিয়ে বাধা পেলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। পুলিশি বাধায় ভাঙড়ে ঢুকতেই পারলেন না তিনি। রাজারহাটের পর নিউটাউনে আটকানো হয় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে। যেখানে পুলিশের সঙ্গে প্রবল কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পুলিশের ‘যুক্তি’ মানতেও চাননি তিনি।

নৌশাদের দাবি ছিল, ১৪৪ ধারার মানে তো চারজন তা তার থেকে বেশি লোকের জমায়েত করা যাবে না। কিন্তু আমি ও আর একজন মাত্রই তো গাড়িতে যাচ্ছি। তাহলে কোথায় সেই ধারা ভঙ্গ করা হয় ? কর্তব্যরত পুলিশের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যেতে দেওয়া হবে না, এটা কোথায় উল্লেখ রয়েছে ?

কর্তব্যরত পুলিশের কাছে, তাঁকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে লিখিত বয়ানও দাবি করেন নৌশাদ সিদ্দিকি। যদিও তাঁদের কাছে আশা ‘অর্ডারের’ ভিত্তিতেই আইএসএফ বিধায়ককে আটকানো হচ্ছে বলেই জানান কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটির পর নৌশাদকে বলতে শোনা যায়, আপনারা বিরোধীদের আটকানোর কাজে ব্যস্ত, সেই সময় নষ্ট করতে চাই না। দীর্ঘক্ষণ বচসার পরও পুলিশ তাঁকে যেতে না দেওয়ায় শেষমেশ ভাঙড়ের রাস্তা আর ধরতে পারেননি নৌশাদ। আগামীতে অবশ্যই যাব, ফিরে যাওয়ার আগে বলেছেন নৌশাদ সিদ্দিকি।

নৌশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘আমি জানতে চাইলাম আমি বিধানসভা কেন্দ্রে যেতে চাই। ওঁরা বললেন যে তালিকা আছে, তাতে নাম না থাকলে যেতে পারব না। গতকালই ভাঙড়ে বড় বড় নেতারা ঘুরে বেরিয়েছেন। প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছেন। আমি তো বরাবর শান্তির কথা বলেছি। ভাঙড়বাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমি বলব ভাঙড়বাসী যে প্ররোচনায় পা না দেন।’

(Feed Source: abplive.com)