নদীর তীরে উদ্ধার রক্তাক্ত লাশ, একদিকে মাথা, আরেকদিকে দেহ! ভয়ঙ্কর

নদীর তীরে উদ্ধার রক্তাক্ত লাশ, একদিকে মাথা, আরেকদিকে দেহ! ভয়ঙ্কর

কানপুর: নদীর পাড়ে সবুজ মাঠে পড়ে রয়েছে এক যুবকের গলা কাটা দেহ, পাশে ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, দেহাংশ, মদের বোতল, জলের পাউচ। সকালবেলা এমন দৃশ্য দেখে ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের। উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরের ঘটনা। যুবকের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।

জানা গিয়েছে, কানপুরে ওই যুবকের নৃশংস হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রথমে শ্বাসরোধ করে, পরে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ওই যুবককে। এরপর তার শরীরের বিভিন্ন অংশও কেটে ফেলা হয়। এমনকী বাদ যায়নি তাঁর গোপনাঙ্গও।

স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানও চালানো হচ্ছে। এসেছে ফরেনসিক দলও।

কানপুর মেট্রোপলিসের ঘাটমপুর কোতোয়ালি এলাকার তরগাঁও গ্রামের নোন নদীর তীরে ওই যুবকের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। মৃতের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, প্রেম সম্পর্কের জেরেই খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই যুবক। বছর ত্রিশের ওই যুবকের পরনে ছিল সাদা শার্ট ও সাদা প্যান্ট।

ঘাটমপুরের এসিপি দীনেশ কুমার শুক্লা জানান, স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের থেকেই খবর পায় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খোঁজ পেতে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

একই সঙ্গে মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। দেহ সনাক্তকরণের জন্যও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে মদের বোতল এবং জলের পাউচও। ফলে মনে করা হচ্ছে প্রথমে ওই যুবককে মদ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পরে আক্রোশবশত তাঁকে কোপানো হয়। খণ্ড খণ্ড করে দেওয়া হয় দেহাংশ।

(Feed Source: news18.com)