‘‌কেন তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক?’ রাজ্যস্তরে মহাজোটের বিপরীত মেরুতে সিপিএম- কংগ্রেস

‘‌কেন তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক?’ রাজ্যস্তরে মহাজোটের বিপরীত মেরুতে সিপিএম- কংগ্রেস

আজ, মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী বৈঠকে মহাজোটের নামও ঠিক হয়ে গেল। সুতরাং আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের বিরুদ্ধে লড়াই করবে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (‌ইন্ডিয়া)‌। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে বৈঠক হলেও বাংলায় কি সবাই বিষয়টি মেনে নিতে পারবে?‌ রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। এখানে কংগ্রেস–সিপিএমের অবস্থান কি হবে?‌ এটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দুই দল সম্মুখসমরে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। মামলা থেকে হামলা কোনও কিছুই বাদ যায়নি। সেখানে সর্বভারতীয় স্তরে এই মহাজোট তৈরি হলেও এই রাজ্যে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

এদিকে জাতীয় স্তরে এই মহাজোট হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এবং সুমন রায়চৌধুরী। এই বৈঠক নিয়ে এবার তোপ দাগলেন কৌস্তুভ বাগচী। আবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে জাতীয় স্তরের জোট এই রাজ্যে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। যদিও বেঙ্গালুরুর বৈঠক থেকে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক স্তরের ছোটখাট সমস্যা এই মহাজোটে প্রভাব ফেলবে না।

ঠিক কী টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা?‌ অন্যদিকে তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট নিয়ে একেবারেই খুশি নন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। রাহুল গান্ধীকে তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‌সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮ জন কংগ্রেস কর্মী মারা গিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে এই খুন হয়েছে। আমি অতীতে তাদের গুণ্ডামি ও অত্যাচারের ঘটনা এবং সংখ্যায় যাচ্ছি না। পশ্চিমবঙ্গে আমরাও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কর্মী। হ্যাঁ আমরা এখনও আছি। তারপরেও কেন তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক?’‌

আর কে, কি বলছেন?‌ এই জোটের বিপক্ষে কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা সুমন রায়চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‌দলের নীচুতলার কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে এই বৈঠকে। নিহত কর্মীদের পরিবারের কথা ভাবুন। তাঁদের আবেগের কথা ভাবুন। যেখানে নীচুতলার কর্মীরা, যাঁরা মাঠে ময়দানে নেমে লড়াই করছেন, যাঁরা সংগঠনের প্রাথমিক ভিত, তাঁদের মনোবলে আঘাত লাগছে।’‌ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী সাফ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌তৃণমূল আগে বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছিল। তাই বিজেপি বিরোধী স্তরে ওদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। আমাদের সেই দায় নেই। এই রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি দু’‌জনেই বামেদের শত্রু। তাই এখানে লড়াই চলবে। কোনও ছাড়ার বিষয় নেই।’‌ কিন্তু বেঙ্গালুরুতে রাহুল গান্ধীর বার্তা, ‘‌বিজেপি আমাদের দেশকে আক্রমণ করছে। গন্ত্রতন্ত্র আজ বিপন্ন। ফলে দেশকে বাঁচাতে আমাদের একজোট হতেই হতো। তাই একজোট হয়েছি।’‌ আর শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’‌ব্রায়েন টুইটে লেখেন, ‘‌চক দে ইন্ডিয়া’‌।

(Feed Source: hindustantimes.com)