বাংলাদেশঃ পাবনায় বাড়িতে হামলা-ভাংচুর

বাংলাদেশঃ পাবনায় বাড়িতে হামলা-ভাংচুর

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা: পাবনা সদর উপজেলায় বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনার জেরে বিএনপি ও যুবদল নেতাদের বাড়িঘর, গাড়ি ও দোকানপাটে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন বিএনপির নেতারা।

শনিবার (২২ জুলাই) রাত পৌনে ১১ টার দিকে উপজেলার আরিফপুরে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১১ টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ করেই জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপনের বাড়িতে হামলা চালায়। তার বাড়িতে হামলার পর পাশের জেলা যুবদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক বাহার হোসেনের বাড়িতে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এছাড়া সড়কের পাশে বিএনপির নেতাদের দুটি দোকানও ভাংচুর করা হয়। ভাংচুর করা হয় একটি প্রাইভেটকারও।

এরপর তারা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য নয়নের বাড়িতেও হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলা ও ভাংচুরের এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা নানা হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন বলেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। সে নিজে দাঁড়িয়েছিল। এ সময় যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিও ছুঁড়েছে। আমার, যুবদল ও স্বেচ্ছাসবকসহ অনেকের বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে।

পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, আমি ঢাকায় আছি। শুনলাম আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। আমি যেহেতু ছিলাম না, তাই কারা করেছে বলতে পারবো না।

তবে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর লিফলেট বিতরণকালে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীদের একটা ঝামেলা হয়। সেই ঘটনার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি ও যুগ্ম-আহবায়ক শিবলী সাদিকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, কয়েকজন লোক সেখানে কয়েকটা দোকান ভাংচুর করেছে। ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২১ জুলাই) আরিফপুরস্থ সদর গোরস্থান জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর দলীয় লিফলেট বিতরণ করছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের বাধা এবং লিফলেট কেড়ে নেন যুবলীগের নেতাকর্মীর।

পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাল্টা ধাওয়ায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা সটকে পড়েন। এ সময় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনির ছোট ভাই পনি বিশ্বাসের গাড়ি ভাংচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলার এক দিনের মাথায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটলো।

(Feed Source: sunnews24x7.com)