ফের নক্ষত্রপতন! না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাউল শিল্পী সাধন দাস

ফের নক্ষত্রপতন! না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাউল শিল্পী সাধন দাস

আবারও দুঃসংবাদ! বাউল গানের জগতে নক্ষত্রপতন৷ সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাউল শিল্পী সাধন দাস বৈরাগ্য৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মনটা ভারাক্রান্ত সকলের৷ মৃত্যুকালে ওনার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর৷ মুহূর্তের মধ্যে শোকের ছায়া পড়েছে ভক্তদের মধ্যে৷

জানা গিয়েছে, গত রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার নাগাদ নিজের আশ্রমেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বাউল শিল্পী সাধন দাস বৈরাগ্য৷ কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি৷ তারপর আর শেষরক্ষা হল না৷ তাঁর চলে যাওয়ায় বাউল গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি৷ বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরে ছিল তাঁর প্রথম আশ্রম৷ তার পরে আমরুল গ্রামে নিজের আশ্রম গড়ে তোলেন সাধন দাস৷ সেখানেই সহজ-সরল জীবন কাটাতেন তাঁর শিষ্যদের নিয়েই৷ রবিবার করে বসত সদানন্দের হাট৷ সকল শিষ্যদের কাঁধে দায়িত্ব ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেলেন বাউল শিল্পী সাধন দাস ৷

সাধন দাস বৈরাগ্যের চলে যাওয়ায় বাউল গানের জগৎ শোকস্তব্ধ৷ শুধু দেশেই নয় বরং বিদেশেই রয়েছে তার অনুরাগীর সংখ্যা৷ তাঁর সাধনাই ছিল বাউল গান৷ জাপানে গিয়েও খ্যাতি পেয়েছিলেন বাউল শিল্পী৷ তাঁর টানেই জাপান থেকে মাকি কাজুমি ভারতে আসেন৷ শুধু তাই নয়, তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করে বাংলা গান শেখাও শুরু করেন৷ সাধন বৈরাগ্যের সঙ্গে আশ্রমেই থাকতেন তিনি৷ তারপর থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসতে শুরু করেন সাধনের আশ্রমে৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- কাজুমি ফুকাজয়া, শোকো নিশিমুড়া, কানাকো শিমিজুরা৷

(Feed Source: news18.com)