কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে করতেই রসায়নে গবেষণা সম্পূর্ণ করলেন সাকে ভারতী৷ অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলায় নাগুলাগুড়ম গ্রামের এই বাসিন্দা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁর দৃঢ়তা এবং পরিশ্রমে৷ দরিদ্র পরিবারের এই সন্তানের সামনে আশৈশব শিক্ষার সুযোগ ও পরিসর ছিল কম৷ তিন সন্তানের মধ্যে সবথেকে বড় সাকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন স্কুলে৷ এর পরই অভাবী সংসারের এই কন্যাসন্তানের বিয়ে হয়ে যায় তাঁর মামার সঙ্গে৷ যা তাঁদের সংস্কৃতিতে খুবই পরিচিত রীতি৷
বিয়ের পর কিছু বছরের মধ্যেই মা হলেন এই তরুণী৷ কিন্তু বিবাহিত জীবনে সংসারের চাপে, দায়িত্বের ভারেও মরে যায়নি তাঁর পড়াশোনার ইচ্ছে৷ কিন্তু তাঁর স্বপ্নপূরণের সাধ্য ছিল না সংসারের৷ বাধ্য হয়ে চাষের মাঠে শ্রমিকের কাজ নিলেন তিনি৷ স্ত্রী এবং মায়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এগিয়ে নিয়ে গেলেন উচ্চশিক্ষা৷ রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পর সম্পূর্ণ করলেন গবেষণা৷
রোজ কাকভোরে ওঠেন ঘুম থেকে৷ ঘর গৃহস্থালির কাজ সেরে পৌঁছন গ্রাম থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের কলেজে৷ দীর্ঘ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে তার পর পান কলেজে পৌঁছনর বাস৷ ফেরার সময়েও সঙ্গী পথশ্রম৷ কিন্তু শ্রান্তি ভুলে তৃপ্তি হাসি ফুটে ওঠে তাঁর ঠোঁটে যখন এসে পৌঁছয় পিএইচডি-র শংসাপত্র৷
Inspiring story of #SakeBharathi from #Anantpur #AndhraPradesh: Married off after class 12 to maternal uncle as she was eldest among 3 girls, fulfilled duties as daily wage labourer, wife, mother of 11-year-old but she did not give up, earned Ph.D in chemistry @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/JbSkVTLn4N
— Uma Sudhir (@umasudhir) July 19, 2023