‘ডিজাইনড করাপশন’! মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নতুন করে ৯৯ পাতার FIR করল CBI

‘ডিজাইনড করাপশন’! মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নতুন করে ৯৯ পাতার FIR করল CBI

ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি-সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নতুন করে ৯৯ পাতার এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সকালে গিয়ে তাঁকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার রাতেও এক দফা জেরা করেন।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি, জাল নথিকে আসল বলে চালানোর অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দুর্নীতি দমনের ৭, ৭এ, ৮ ধারাতেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই এফআইআর-এর মূল কপির সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশনামা ও আবেদনপত্র আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই।

মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, এই চার জেলার শতাধিক চাকরি প্রার্থী প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতির অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলা ওঠে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, এই দুর্নীতিকে নিয়োগ দুর্নীতির থেকে আলাদা বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পোস্টিং দুর্নীতি আসলে ডিজাইনড করাপশন (পরিকল্পিত দুর্নীতি)।

মঙ্গলবারই রাত আটটার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে নির্দেশ দেন। পরেরদিন অর্থাৎ বুধবার সকালেও তাঁকে জেরা করতে বলেন। প্রয়োজনে এফআইআর করে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতির নির্দেশে, সিবিআইয়ের দুঁদে আধিকারিকরা জেলে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পোস্টিং সংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন বলে খবর। এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে রাতেই টিম প্রেসিডেন্সি জেলে যায়। দুটি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম সহ চারজন আধিকারিক জেলে গিয়ে মানিকের কাছে শিক্ষকদের পোস্টিং সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান। বুধবার সকালেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পর হেফাজতে নেওয়ার জন্য এফআইআর দায়ের করে তদন্তকারী সংস্থা।

(Feed Source: hindustantimes.com)