‘রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার কিংপিন’, পার্থ-র জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে ইডির পাল্টা

‘রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার কিংপিন’, পার্থ-র জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে ইডির পাল্টা

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে ইডির পঞ্চবাণ। বিনা বিচারে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বন্দি মুক্তি কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। হেফাজতে থাকার বছর ঘুরে যাওয়ার পর তা নিয়ে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি জামিনের আবেদনই জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যে আবেদনের প্রেক্ষিতে পাঁচটি পাল্টা যুক্তি খাড়া করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ার কিংপিন হিসেবেই অভিহিত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ইডি-র পাল্টা দাবি, ‘পার্থকে আদালতে পেশের সময় অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকে, অন্যদের ক্ষেত্রে থাকে না। পার্থকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয় না, বিশেষ গাড়িতে নিয়ে আসা হয়’। সঙ্গে তাদের আরও দাবি,’গ্রেফতার হওয়ার ৮ মাস পরেও তিনি জেলের ভিতরে আংটি পরতেন। এসএসকেএমে রিপোর্ট বিকৃত করা হয়েছে’।

একাধিক পাল্টা দাবি তুলে ইডির দাবি, ‘রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, যার কিংপিন পার্থ’। সঙ্গে তারা আরও জানিয়েছে, ‘পার্থ বলছেন অর্পিতার টাকা, অর্পিতা বলছে পার্থর টাকা। ইতিহাসে প্রথমবার দেখছি ৫০ কোটি টাকার কোনও দাবিদার নেই’। পাশাপাশি ‘পিংলার ডিসিএম স্কুলেরও দাবিদার নেই, পার্থ বলছেন তাঁর স্কুল নয়’।

গত বছরের ২২ জুলাই, নাকতলার বাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। ১৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি, ওই দিন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় ইডি। ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে মিলেছিল ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। চার দিনের মাথায় অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও মেলে যকের ধনের খোঁজ। এবার সেখান থেকে প্রায় ৩০ কোটি নগদ ও কয়েক কোটি টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীরই গ্রেফতারি, অস্বস্তিতে ফেলে দেয় শাসকদলকে। চাপের মুখে গ্রেফতারির ৬ দিনের মাথায় তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। যারপর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে শাসকদল। যদিও একাধিকবার দলের সঙ্গে থাকার ও দলের ওপর আস্থা রাখার বার্তাই দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

(Feed Source: abplive.com)