মা হল ‘পুরুষ’ গোরিলা! ভুল ভাঙার পর বিস্মিত চিড়িয়াখানা

মা হল ‘পুরুষ’ গোরিলা! ভুল ভাঙার পর বিস্মিত চিড়িয়াখানা

কলকাতা: বিপুলবপুর প্রাণী। আপাত শান্ত এই প্রাণীটি এখন বিলুপ্ত হওয়ার প্রায় দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে।

আমেরিকার (America) একটি চিড়িয়াখানা। সেখানেই বসবাস এর। মনে করা হয়েছিল ইনি পুরুষ। সেভাবেই তার দেখভাল চলছিল। একদিন হঠাৎ দেখা যায় তার কোলে রয়েছে সদ্য জন্মানো এক শিশু। তা দেখেই ভুল ভাঙে চিড়িয়াখানার (Zoo) কর্মীদের। যাকে এতদিন পুরুষ মনে করা হচ্ছিল, সে আদতে এক নারী। এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার ওহিওর কলম্বাস জু-তে।

দিন কয়েক আগে এই ঘটনার কথা জানানো হয় চিড়িয়াখানার সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) হ্যান্ডেলে। ওই চিড়িয়াখানার বাসিন্দা বেশ কিছু গোরিলা। তাদের মধ্যেই ছিল সুলি নামে এক গোরিলা। বছর আটেকের এই গোরিলাটিকে পুরুষ বলেই ভেবেছিলেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। কিন্তু সম্প্রতি তার কোলে শিশু দেখে ভুল ভাঙে চিড়িয়াখানার কর্মীদের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই চিড়িয়াখানার তরফে যে পোসট করা হয়েছে তাতে গোটা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। চিড়িয়াখানার তরফে বলা হয়েছে অন্তত বছর আটেক বয়স না হওয়া পর্যন্ত গোরিলার লিঙ্গ নির্ধারণ করা সহজ নয়, অন্তত বাইরে থেকে বা দূর থেকে দেখে চট করে বলা যায় না। সেক্ষেত্রে আগেভাগে ঠিকমতো বুঝতে হলে শারীরিক পরীক্ষা করতে হয়, যার জন্য প্রাণীটিকে অজ্ঞান করতে হতে পারে। ফলে অনেকসময়েই চিড়িয়াখানার কর্মীরা অল্পবয়স্ক গোরিলার লিঙ্গ নির্ধারণ করতে গিয়ে ভুল করেন বলে জানানো হয়েছে। বছর পাঁচেক বয়স থেকেই স্ত্রী গোরিলা সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়ে যায়। কিন্তু কোনও স্ত্রী গোরিলা সন্তানসম্ভবা কি না সেটা বোঝাও কঠিন। কারণ, দৈহিক গঠনের কারণেই গোরিলার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষ্মণ বাহ্যিক ভাবে তেমন একটা বোঝা যায় না।

কলম্বাস চিড়িয়াখানার তরফে বলা হয়েছে সুলি এবং তার সন্তান সুস্থ রয়েছে। এই শিশু গোরিলার পিতাকে খুঁজতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

আমেরিকা এই চিড়িয়াখানা গোরিলা সংরক্ষণের কাজ করে থাকে। চিড়িয়াখানার তরফেই জানানো হয়েছিল, ১৯৫৬ সালে বিশ্বের প্রথম গোরিলার ক্যাপটিভ ব্রিডিং এই চিড়িয়াখানাতেই হয়েছিল। তারপর থেকে গোরিলা সংরক্ষণ নিয়ে নানা কাজ করে আসছে কলম্বাস জু।

IUCN-এর তালিকা অনুযায়ী, ওয়েস্টার্ন লো-ল্যান্ড গোরিলা অত্যন্ত বিপন্নপ্রায় প্রজাতি। অর্থাৎ এদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, বাসস্থান কমছে, যার ফলে বিলুপ্ত হওয়ার দিকে দ্রুত এগোচ্ছে এই প্রজাতি।

(Feed Source: abplive.com)