মাত্র ২৬ বলে ৮০ রান, জিম্বাবোয়ের T10 লিগে আমিরদের মেরে ভূত ভাগালেন পাঠান- ভিডিয়ো

মাত্র ২৬ বলে ৮০ রান, জিম্বাবোয়ের T10 লিগে আমিরদের মেরে ভূত ভাগালেন পাঠান- ভিডিয়ো

জিম্বাবোয়ে আফ্রো টি-১০ লিগে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন ইউসুফ পাঠান। ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিলেন, এখনও অস্ত্র চালাতে ভোলেননি তিনি।

টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ইউসুফ কার্যত একার হাতে জয় এনে দেন জোহানেসবার্গ বাফেলোজকে। ডারবান কালান্দার্সের বিরাট রানের ইনিংস টপকে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে মহম্মদ হাফিজের নেতৃত্বাধীন জো’বার্গ।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ডারবান। তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪০ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। অর্থাৎ, ওভার প্রতি ১৪ রান সংগ্রহ করে তারা। টিম সেফার্ত ৮ বলে ১১, আন্দ্রে ফ্লেচার ১৪ বলে ৩৯, আসিফ আলি ১২ বলে ৩২ ও নিক ওয়েলশ ৮ বলে ২৪ রান করেন। জোহানেসবার্গের হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন নূর আহমেদ।

পালটা ব্যাট করতে নেমে জোহানেসবার্গ ৯.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠেন ইউসুফ পাঠানরা।

উসুফ ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৫টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৮০ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে মহম্মদ আমিরের বলে ৩টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন পাঠান। ১টি দু’রান ও ১টি ওয়াইড বল-সহ সেই ওভারে মোট ২৫ রান ওঠে।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান দরকার ছিল জোহানেসবার্গের। চাতারার প্রথম বল পায়ে লাগতেই দৌড়ে প্রান্তবদল করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন পাঠান। তৃতীয় বলে চার মারেন তিনি। চতুর্থ বলে ফের ছক্কা হাঁকান ইউসুফ। পঞ্চম বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন সিনিয়র পাঠান।

ইউসুফ টুর্নামেন্টের ৮ ম্যাচের ৬টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সাকুল্যে ১৮৭ রান সংগ্রহ করেছেন। স্ট্রাইক-রেট ২০৭.৭৭। মোট ১৬টি চার ও ১৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।

ইউসুফের মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া কোয়ালিফায়ারে ৮ বলে ১৭ রান করেন মহম্মদ হাফিজ। ১০ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। মহম্মদ আমির ২ ওভারে ৪২ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন ইউসুফ পাঠান।

(Feed Source: hindustantimes.com)