সোমনাথ শৌকে নিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

সোমনাথ শৌকে নিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

বীরভূম: শৃঙ্খলাভঙ্গে মিলবে না রেয়াত। সোমনাথ শৌকে নিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমন দাবি করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সম্প্রতি সাসপেন্ড করা হয় বিশ্বভারতীর পল্লীশিক্ষা ভবনের এক পড়ুয়াকে। এরপরই শুক্রবার জনসংযোগ আধিকারিক একটি প্রেস রিলিজ করে জানায়,”যদি লক্ষণ রেখার লংঘন করে বিপথগামী ছাত্র এবং শিক্ষার্থী। তবে তাঁদের জন্য সংশোধনের পথ তৈরি করতে নৈতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়।

পড়ুয়াদের জ্ঞান অর্জনের নিযুক্ত হওয়ায়ই একমাত্র কর্তব্য। তা না করে স্নাতকোত্তর স্তরের পল্লীশিক্ষা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বিভাগের ছাত্র সোমনাথ সৌকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিভ্রান্ত করছেন। যা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায়-বিচারের নীতি মেনেই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

যদিও বিশ্বভারতীর প্রেস রিলিজ সম্পর্কে মিথ্যা ভুল ব্যাখ্যার পূর্ণ দাবি তুলে তীব্র নিন্দা করেছেন অধ্যাপক সংগঠন।প্রসঙ্গত,অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে স্বপক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য পড়ুয়ার বিরুদ্ধে আগেই তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। এবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট সম্পর্কিত আচরণ লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়েই তৃতীয় সেমিস্টারও স্থগিত করা হয়।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে প্রায় ১ বছরের জন্য ওই পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নোটিসে শৃঙ্খলাভঙ্গ নিয়ে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর দাবী, অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক এখনও আদালতের বিচারের দিন রয়েছে। এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে একজন ছাত্র প্রচার করেছে। যা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকারক। এছাড়াও হুঁশিয়ারি দিয়েও প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।

অমর্ত্য সেনের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট থেকে শুরু করে বিশ্বভারতী নানান বিতর্কিত বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন পড়ুয়া সোমনাথ সৌ।বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বিতর্কিত পোস্ট করায় আচরণ লঙ্ঘন করেছে ওই ছাত্র। সর্বসম্মত সুপারিশ অনুযায়ী তৃতীয় সেমিস্টার স্থগিত করা হয়েছে।পড়ুয়াদের একাংশের মত শৃঙ্খলাভঙ্গ,কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধাচারণ-সহ একাধিক বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরুদ্ধ মত পোষণ করার অভিযোগেই সরাসরি এক বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয় সোমনাথ সৌকে।উপাচার্যের বিরুদ্ধে বারবার ‘বিরুদ্ধস্বর’ হওয়ার জন্যই ‘শাস্তিস্বরূপ’ উপাচার্য এমন পদক্ষেপ করেছেন।

শুধু, পড়ুয়াই নন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কবলে একাধিক অধ্যাপকও রয়েছেন। অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য প্রেস রিলিজ করে বলেন,”প্রতিহিংসামূলক আচরণের জন্যই বিশ্বভারতী স্বতপ্রণোদিতভাবে শৃঙ্খলা কমিটির নাম করে পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন সম্পর্কে লিখিতভাবে একাধিকবার জমি দখলকরী, স্বার্থপর মন্তব্য করে যা সম্পূর্ণভাবে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া লঙ্ঘন।

বিচারাধীন বিচার উপর এমন কার্যকলাপ পক্ষপাতমূলক।অন্যদিকে সাসপেন্ড পড়ুয়া সোমনাথ সৌ বলেন, ”বিরুদ্ধাচারণ করার জন্যই এই ‘শাস্তি’ পেতে হচ্ছে। বাক স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে বর্তমান উপাচার্য।তবে,এর বিরুদ্ধে আইনের পথেই মোকাবিলা হবে।”

(Feed Source: news18.com)