পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত, জেনে নিন কোন সংগঠন হামলার দায় নিল?

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত, জেনে নিন কোন সংগঠন হামলার দায় নিল?
ছবি সূত্রঃ সোশ্যাল মিডিয়া
পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন

পাকিস্তানের খবর: রবিবার রাতে পাকিস্তানে বড়সড় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কট্টরপন্থী ইসলামী দলের রাজনৈতিক সম্মেলন চলাকালে আকস্মিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে উত্থিত ধুলোর মেঘ ছড়িয়ে পড়তেই চারদিকে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। অনেক মৃতদেহের ন্যাকড়া উড়ে গেছে। হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই হামলায় মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত 46 জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে জানা গেছে এই বড় আত্মঘাতী হামলার পেছনে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের হাত রয়েছে? পাকিস্তানের অশান্ত খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ সোমবার প্রাথমিক তদন্তে বলেছে যে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) কট্টরপন্থী ইসলামিক দলের একটি রাজনৈতিক সম্মেলনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পিছনে ছিল। বিস্ফোরণে কমপক্ষে 46 জন নিহত এবং 100 জনেরও বেশি আহত হয়েছে। রবিবার যখন কট্টরপন্থী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (JUI-F) এর 400 জনেরও বেশি সদস্য খার শহরে একটি বৈঠকের জন্য জড়ো হয়েছিল তখন বিস্ফোরণটি ঘটে। এই শহরের সীমান্ত আফগানিস্তানের সাথে।

বিস্ফোরণের পিছনে ইসলামিক স্টেট সন্দেহভাজন: পুলিশ

জিও নিউজ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলেছে, “আমরা বর্তমানে বাজাউর বিস্ফোরণের তদন্ত করছি এবং এ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছি। এর পেছনে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ৩৮টি লাশ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে অজ্ঞাত আটজনের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে, এবং বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে।

10 কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তিনজন হেফাজতে

জেলা পুলিশ কর্মকর্তা নাজির খান জানান, এ ব্যাপারে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত খানের মতে, বিস্ফোরণ ঘটাতে ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, হামলাকারী রাজনৈতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের একজন এবং সামনের সারিতে বসেছিলেন। স্থানীয় পুলিশ জানায়, সম্মেলনের মঞ্চের কাছে হামলাকারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়।

জেইউআই-এফের বৈঠক চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে

উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়ার বাজাউর এলাকায় জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এর একটি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এই মিটিংয়ে অনেক কর্মী এসেছিলেন। মঞ্চ থেকে দলটির নেতার বক্তব্য চলছিল। সেই সঙ্গে জনতা তাদের নেতা দীর্ঘজীবী হোক স্লোগান দিচ্ছিল। যখন কর্মী সম্মেলন হচ্ছিল, তখন জনতা তাদের নেতার জন্য জিন্দাবাদের স্লোগান দিচ্ছিল। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয় এবং বহু মানুষ মারা যায়, যারা জিন্দাবাদের স্লোগান দিতে থাকে, সেখানে স্লোগানের জায়গায় স্লোগান ওঠে।

বিস্ফোরণে জেইউআই-এফ-এর বিশিষ্ট নেতারাও নিহত হয়েছেন।

বিশিষ্ট JUI-F নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জানও বিস্ফোরণে নিহত হন। আহতদের পেশোয়ার ও তিমারগেরার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ঘটনার পর নিরাপত্তাকর্মীরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স।

(Feed Source: indiatv.in)