কিম-পুতিনের গোপন চুক্তি, আমেরিকার ওপর পরমাণু হামলা?

কিম-পুতিনের গোপন চুক্তি, আমেরিকার ওপর পরমাণু হামলা?

উত্তর কোরিয়ার আরেকটি ছবিতে কিমের সেই সব বিপজ্জনক অস্ত্র দৃশ্যমান যা গোটা বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। এখানেও কিম জং ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে একসঙ্গে দেখা গেছে। এসব ছবি সামনে আসার পর বিশ্বে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়া কোনো গোপন পরিকল্পনা করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে এমন কিছু ছবি বিশ্বের সামনে এসেছিল, যা শুধু আমেরিকার অসুবিধাই বাড়ায়নি, সব পশ্চিমা দেশকে ভাবতে বাধ্য করেছে। উত্তর কোরিয়ার অফিসিয়াল ভবনে পুতিনের বড় ছবি দৃশ্যমান। ভবনে উপস্থিত উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন এবং তার সঙ্গে উপস্থিত রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকেও দেখা গেছে। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার আরেকটি ছবিতে কিমের সেই সব বিপজ্জনক অস্ত্র দৃশ্যমান যা গোটা বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। এখানেও কিম জং ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে একসঙ্গে দেখা গেছে। এসব ছবি সামনে আসার পর বিশ্বে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়া কোনো গোপন পরিকল্পনা করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পুতিন এবং কিমের মধ্যে একটি চুক্তি ছিল?

রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে যাওয়ার দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এত দীর্ঘ যুদ্ধের পর রাশিয়া কি তার দুর্বলতা বুঝতে শুরু করেছে। এ কারণেই তিনি এখন বিশ্বের কাছে সাহায্য চাচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব দেশ আমেরিকার সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত। এটাও বলা হচ্ছে যে উত্তর কোরিয়া যখন তাদের বিজয় দিবস উদযাপন করছিল, তখন শুধু রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীই নন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য লি হংজংও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পুতিন-জিনপিং-কিম একসঙ্গে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়বেন

বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চলছে। এগুলো আগামী দিনে আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এর কারণও পরিষ্কার। ইউক্রেনের হামলার জেরে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে যখন আলোড়ন। মস্কোতে একের পর এক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছুই করতে পারেনি। যার কারণে ইউক্রেনের সাহসিকতার সামনে রাশিয়ার শক্তি ক্ষীণ হয়ে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এ কারণেই নতুন শক্তির সন্ধানে আশা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে রাশিয়া।