হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে হাড়িও নিয়ে এল পরিবার! তার ভিতরে কী, দেখেই আঁতকে উঠল সকলে

হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে হাড়িও নিয়ে এল পরিবার! তার ভিতরে কী, দেখেই আঁতকে উঠল সকলে

অনুপ বিশ্বাস, ক্যানিং: শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী থানার পূর্ব তেতুলবেরিয়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রুকসানা শেখ তার মায়ের সঙ্গে বাড়ির পাশে ঘাস কাটছিল সেই সময় আচমকায় রুকসানার হাতে একটি সাপ কামড় ছোবল মারে এরপরে রুকসানা চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে রুকসানাকে একটি সাপে কামড় দেয়। এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন সাপের।

তারপরে পরিবারের লোকজন একটি কেউটে সাপ উদ্ধার করে সাপসহ রুকসানাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। রুকসানাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছে। তবে পরিবার দাবি করছে, সাপ নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকদের চিকিৎসা করতে সুবিধা হবে। সেই কারণে তারা সাপটিকে জ্যান্ত অবস্থায় ধরে নিয়ে আসে একটি হাঁড়িতে করে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসক থেকে হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবারের লোকজনদেরও।

তবে চিকিৎসকদের দাবি, সাপে কামড়ালে সাপ নিয়ে হাসপাতালে আসার প্রয়োজন হয় না। সর্প রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, সাপ নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই তাতে আরও বিপদ থাকতে পারে। একদিকে সাপ নিয়ে আসলে আবারও সাপের ছোবল দিতে পারে এমনকি বাস্তুতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে সাপ না নিয়ে আসলেই ভাল হয়।

তবে সর্প রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় আরও জানিয়েছেন, যদি সাপ নিয়ে আসার মানুষের মানসিকতা থাকে তাহলে সাপ নিয়ে সবাই হাসপাতালে এলে পরিবেশের বাস্ত তন্ত্রের ক্ষতি হবে, মানুষের ভ্রান্ত ধারণা সাপ নিয়ে আসলে চিকিৎসক সাপ দেখে চিকিৎসা করবেন। তবে তিনি আরও জানিয়েছেন সাপের কামড়ে রুগীর লক্ষণ দেখলেই বোঝা যাবে কোন সাপে কামড়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন সাপে কামড়ালে অবিলম্বে ওঝা গুনিনের কাছে না গিয়ে সরাসরি হাসপাতালে আসলে অনেকটাই বিপদ কেটে যাবে এবং রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা যাবে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা কিছুটা হলেও স্থিতিশীল।

(Feed Source: news18.com)