Cancer Treatment in WB: হাতের নাগালেই এবার চিকিত্সা! রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে টার্সিয়ারি ক্যান্সার সেন্টার

Cancer Treatment in WB: হাতের নাগালেই এবার চিকিত্সা! রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে টার্সিয়ারি ক্যান্সার সেন্টার

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: দুয়ারে ক্যান্সার চিকিৎসা! ক্যান্সার চিকিৎসায় কিছুটা এমনই মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে রাজ্যসরকার তথা স্বাস্থ্যদপ্তর। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে ক্যান্সারের চিকিৎসা পেতে দূর দূরান্ত থেকে যাতে শহরে ছুটে আসতে না হয় তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে স্বাস্থ্যভবন।

ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় চালু হয়েছে ক্যান্সার চিকিত্সার বহির্বিভাগ। কেমোথেরাপিও যাতে জেলা হাসপাতালে বসেই নিতে পারেন রোগীরা সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে যাতে এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে না ছুটতে হয়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবার। রোগী নয়, তাঁর নমুনা ঘুরবে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। সঙ্গে চালু হতে চলেছে একাধিক টার্সিয়ারি কেয়ার ক্যান্সার হাসপাতাল। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠছে টার্সিয়ারি ক্যান্সার সেন্টার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার আর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং এসএসকেএম হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে ক্যান্সার হাব। শুধু তাই নয়, মেদিনীপুরেও তৈরি হচ্ছে পিপিপি মডেলের ক্যান্সার হাসপাতাল।

শনিবার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথাই জানান রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। “রাজ্য তথা পূর্বাঞ্চলে কী ভাবে ক্যানসার চিকিৎসার উন্নতি করা যায়” শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, মেডিকা ক্যান্সার হাসপাতালের উপদেষ্টা ও সিনিয়র চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট (সিএনসিআই)-র অধিকর্তা জয়ন্ত চক্রবর্তী, ঠাকুরপুকুরের সরোজ গুপ্ত ক্যানসার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা অর্ণব গুপ্ত, রাজারহাট টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের অধিকর্তা পি অরুণ। আলোচনার মডারেটর ছিলেন মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের উপ অধিকর্তা পঙ্কজ চতুর্বেদী।

পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই গোটা পূর্বাঞ্চলে উন্নত ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে, সরকারি ও বেসরকারিস্তরের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। পরিকাঠামো, ব্যবস্থাপনা থেকে সব কিছুতেই দু’য়ের মধ্যে পারস্পরিক আদানপ্রদান না থাকলে ক্যান্সারের মত অসুখের চিকিৎসার উন্নতি সম্ভব নয়। আর তা না হলে, ওই রোগে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ বঞ্চিত থেকে যাবেন আধুনিক চিকিৎসা থেকে— শনিবার এমনই মতামত উঠে এল বিভিন্ন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের কথায়।