এমপি কোটায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির সিস্টেম কি ফিরছে? সংসদে জবাব মন্ত্রীর

এমপি কোটায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির সিস্টেম কি ফিরছে? সংসদে জবাব মন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সাংসদ কোটা সিস্টেম নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার কোনও প্রস্তাব সরকারের কাছে নেই। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সোমবার সংসদে একথা জানিয়ে দিয়েছে। বিজেডি সদস্য শর্মিষ্ঠা শেঠ এনিয়ে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। সেখানেই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও প্রস্তাব বিবেচনার মধ্য়ে নেই। সাংসদ কোটায় ভর্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কোনও ব্যাপার নেই। তবে এর প্রেক্ষাপটটা জেনে নেওয়া যাক।

গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার কেভিতে ভর্তির ক্ষেত্রে এমপি কোটাকে রদ করে দিয়েছিল। এরপর নতুন করে ভর্তির ক্ষেত্রে গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল। কারণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এই কোটা সিস্টেম চালু থাকলে প্রচুর ছাত্রছাত্রী সেই কোটাতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। সেকারণেই সেই কোটা সিস্টেমকে কার্যত বাতিল বলে ঘোষণা করা হচ্ছে।

তবে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কার্যত জানিয়ে দিয়েছেন সেই বাতিল করা এমপি কোটা সিস্টেম আপাতত বিবেচনা করা হচ্ছে না। এদিকে ১৯৭৫ সালে এই কোটা সিস্টেম চালু হয়েছিল কেভিতে ভর্তির ক্ষেত্রে। সেখানে বলা হয়েছিল একজন এমপির অন্তত ১০জন পড়ুয়াকে তাঁর কোটার মাধ্যমে ভর্তি করার ছাড়পত্র ছিল। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এই সুবিধা তারা পেতেন।

কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই কোটার মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার পড়ুয়া ভর্তি হত। আসলে লোকসভায় ৫৪৩জন এমপি। আর রাজ্যসভায় ২৪৫জন এমপি। সব মিলিয়ে তাঁরা ৭৮৮০জনকে ভর্তি করাতে পারতেন। আর কেভির সংখ্য়া ১২৪৮টি। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছাত্রের সংখ্যা বাড়ছিল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। এর জেরে বিভিন্ন ক্লাসে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতও বজায় রাখা যেত না। সেকারণেই আগের নিয়মে বদল আনা হয়।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, মূলত যেসমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের বদলির চাকরি , মূলত সামরিক বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনীতে কর্মরতদের বদলির পরে তাঁরা সন্তানদের কোথায় ভর্তি করবেন তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে বড় ভরসা কেভি।

(Feed Source: hindustantimes.com)