হয়েছিল সহবাস, তারপরেই প্রেমিকার ওপর নৃশংস হামলা,চরম শাস্তি চাইছে স্বপ্নার বাড়ি

হয়েছিল সহবাস, তারপরেই প্রেমিকার ওপর নৃশংস হামলা,চরম শাস্তি চাইছে স্বপ্নার বাড়ি

মুর্শিদাবাদ: প্রেমিকার সঙ্গে সহবাস করার পরে দেহ থেকে মুন্ডু আলাদা করেছিল প্রেমিক। পুলিশি জেরায় স্বীকার করল অভিযুক্ত প্রেমিক উজ্জ্বল কোনাই। সোমবার কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী উজ্জ্বল কোনাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক সদ্য কলেজে পা দেওয়া স্বপ্না সর্দারের। স্বপ্না সর্দারের বাড়ি শক্তিপুর থানার বাজারশৌ-এর কাছেই উজ্জ্বলের মামার বাড়ি। মামার বাড়ি যাওয়া আসার সময়ই স্বপ্নার সঙ্গে উজ্জ্বলের সম্পর্ক তৈরি হয়। দুই পরিবার জানত দুজনের সম্পর্কের কথা। কিন্তু মেয়ের বাড়ি মেনে নিলেও ছেলের বাড়ি দুজনের সম্পর্ক মানতে চাইনি। কারণ স্বপ্নার পরিবার তাঁদের থেকে নিম্ন বর্গের বলে। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল।

গত শনিবার সন্ধ্যায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারশৌ থেকে স্বপ্নাকে বড়ঞায় তুলে নিয়ে আসে উজ্জ্বল। এরপর নিজের বাড়ির পাশের গ্রামে বড়ঞা থানার কল্যানপুর বিছুর গ্রামে মুণ্ডু কেটে প্রেমিকাকে খুন করে ওই যুবক।

বড়ঞা থানার কল্যানপুর বিছুর গ্রামে মুণ্ডু কেটে প্রেমিকাকে খুন করে ওই যুবক।

পুলিশি জেরায় উজ্জ্বল স্বীকার করেছে তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে চাইছিল না তাদের পরিবার। মাঝেমধ্যে এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। পুলিশের কাছে সে আরও বলে ফোন করলে ফোনে ব্যস্ত থাকত স্বপ্নার। এর ফলে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে।

এদিন কন্দি মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে উজ্জ্বল কোনাই বলে, ‘‘আমি ওকে খুন করেছি। আমাকে প্রথম ও আঘাত করেছিল। সেই কারণে আমি খুন করেছি। তবে আমার সঙ্গে আর অন্য কেউ ছিলনা।’’

তবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আসার পরেও কি এমন ঘটল যে এতটা নৃশংসভাবে খুন করা হল স্বপ্নাকে তা জানতে দিশেহারা তরুণীর পরিবার।মৃতার দাদা শ্যাম সর্দার বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ির কাছে উজ্জ্বলের মামার বাড়ি। সেখানে যাওয়া আসা করতে করতেই আমার বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু আমরা নিম্নবর্গের বলে উজ্জ্বলের পরিবার সম্পর্কটা মেনে নেয়নি। সেই কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ওদের মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার বোনকে নিয়ে এসে নৃশংসভাবে খুন করেছে। আমরা উজ্জ্বলের ফাঁসি চাই।’’

এলাকাবাসী সুপ্রভাস ঘোষ বলেন, ‘‘উজ্জ্বল মামার বাড়ি আসলেই স্বপ্নার সঙ্গে দেখা করত। ওরা একসঙ্গে ঘোরাফেরাও করত। ছেলের পরিবার সম্পর্কটা মেনে না নেওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল। আর সেই কারণেই উজ্জ্বল খুন করেছে।’’

(Feed Source: news18.com)