দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল চোখের ধাঁধা। হামেশাই নানা রকম অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে বার করতে হয় নানা রকম অবয়ব, অক্ষর ইত্যাদি। আর অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এগুলি খুঁজে বার করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা! এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
পূর্ণ এক নারীকে দেখছেন, না, শুধু তার মুখ?
সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বার করব আমরা! ছবিটি পোস্ট করেছেন নিজের টিকটক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এক মনোবিদ। সবুজে ভরা প্রাকৃতিক এক নিসর্গদৃশ্য- কেউ সেখানে দেখতে পাবেন এক পূর্ণ নারীকে, হাতে ঝুড়ি নিয়ে আপেল তুলছে সে, কেউ বা আবার দেখবেন শুধু এক নারীর মুখ। আর তা থেকেই জানা যাবে দর্শকের প্রকৃতি কেমন, দাবি মনোবিদের।
মনোবিদ বলছেন যে যাঁরা আগে আপেলের ঝুড়ি হাতে পূর্ণ এক নারীকে দেখবেন, কোনও সন্দেহ নেই তাঁরা অতিশয় নরম স্বভাবের মানুষ। এর জন্য সহজেই তাঁদের নিজের মত অনুযায়ী পরিচালনা করা যায়। মনোবিদের সতর্কতা- এঁরা সমাজকে যে চোখে দেখেন, বাস্তব তার বিপরীত, অতএব সহজেই কাউকে বিশ্বাস করা উচিত হবে না।
আর আগে যদি দেখা যায় শুধু এক নারীর মুখ?
সাফ জানাচ্ছেন মনোবিদ- এই ধরনের মানুষেরা খুবই আত্মপ্রত্যয়ী, নিজেদের জন্য সাফল্যের যে লক্ষ্যমাত্রা তাঁরা ঠিক করে রেখেছেন, সাধারণত সেখানে না পৌঁছে ছাড়েন না। তবে একই সঙ্গে এঁরা পারফেকশনিস্ট বলে নিজের এবং অন্যদেরও প্রতিও খুব কড়া, যে কারণে সবাই এঁদের ভুল বোঝে।