Pakistan Caretaker PM: পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী পদে প্রাক্তন এই বিদেশ সচিব!

Pakistan Caretaker PM: পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী পদে প্রাক্তন এই বিদেশ সচিব!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্য়াসেম্বলিতে তাঁর বিদায়ী বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। স্বীকার করে নিলেন গত ৩৮ বছরের তাঁর পলিটিক্যাল কেরিয়ারে তিনি এতটা কঠিন সময় পার করেননি। আজই তিনি রাষ্ট্রপতির কাছ পাক সাংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। কিন্তু পাক সংবিধান অনুয়ায়ী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করাতে হবে। সেই সময় কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হবে কে? এটাই এক বড় প্রশ্ন পাক রাজনীতিতে। তবে শেষ মুহূর্তে যে নামটি সবথেকে বড় হয়ে উঠে আসছে সেটি হল প্রাক্তন বিজেশ সচিব জলিল আব্বাস জিলানি।

পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জলিল আব্বাস জিলানির জন্য জোরদার সুপারিশ করেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি। আজ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ জারদারির সঙ্গে বৈঠকে বসেন নওয়াজ শরিফ। সেখানে জিলানির নাম উঠে আসে। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিও দলের কাছে জলিলের নাম সুপারিশ করেছেন। মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে ইউসুফ রাজা গিলানির সম্পর্কে তুতো ভাই জলিল আব্বাস। কয়েকদিন ধরেই দেশের প্রাক্তন এই বিদেশ সচিবের নাম কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছিল। আজ সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন।

গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ বলেন- আগামীকাল (৯ অগস্ট) আমাদের সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। আমি প্রেসিডেন্টের কাছে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন করব। এরপর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেবে। যদিও এর আগে শাহবাজ শরিফ জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে। এরপর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা রাজা রিয়াজ বলেছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে এখনও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ৯ অগস্ট এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হয়। আর জাতীয় পরিষদ তার পুরো মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হয়।

(Feed Source: zeenews.com)