ত্রিপুরাঃ লোকসভা ভোটের আগে বুথ স্তরে নজর মানিক সাহা

ত্রিপুরাঃ লোকসভা ভোটের আগে বুথ স্তরে নজর মানিক সাহা

আগরতলা: মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। এর সঙ্গে মানুষের সমর্থন আদায় করতে হবে। উন্নয়নমূলক কাজ করতে রাজনীতির প্রয়োজন হয় না। মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করাই হচ্ছে আসল। সেই সঙ্গে বুথস্তরে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

আগামী দিনেও ভারতীয় জনতা পার্টির জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে কার্যকর্তাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। শনিবার উনকোটি জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে এই বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের পর ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। হাতে গোনা আর কয়েক মাস মাত্র বাকি। এর আগেই দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করার উপর জোর দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব।

এই অবস্থায়  কৈলাশহরে ভারতীয় জনতা পার্টির উনকোটি ও চন্ডিপুর মণ্ডল এবং পাবিয়াছড়া মণ্ডল ও ফটিকরায় মণ্ডলের উদ্যোগে পৃথক দুটি সংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উভয় বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এমনিতেই বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে জেলা সফরের সময়ে বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক সভা, বৈঠকে অংশ গ্রহণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভায় দলের নেতা ও কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মূল্যবান পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে উনকোটি জেলা সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেখানে একাধিক সরকারি ও দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করেন তিনি। এরই একটি কর্মসূচি হিসেবে কৈলাশহরের উনকোটি কলাক্ষেত্রে বিজেপি আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রমমন্ত্রী টিংকু রায়, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী সুধাংশু দাস, বিজেপির জেলা সভাপতি পবিত্র চন্দ্র দেবনাথ-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। পরবর্তী সময়ে বিকেলে পাবিয়াছড়া মণ্ডল ও ফটিকরায় মণ্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য সুধাংশু দাস, প্রাক্তন মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস-সহ জেলা ও মণ্ডলের নেতৃত্ব। উভয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। সেই সঙ্গে মানুষের সমর্থন আদায় করতে হবে।

উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক হয় না। মানুষের কল্যাণ সাধন করতে হলে রাজনীতির প্রয়োজন হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে রাজনীতি কখনও ভাল কাজের বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার ত্রিপুরার মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব জনমুখী প্রকল্প নিয়ে দলের কার্যকর্তাদের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে সকল স্তরের মানুষের কল্যাণে কাজ করা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশনায় কাজ করছে এই রাজ্যের সরকার। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট-ইস্ট পলিসির মাধ্যমে বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি। জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে রেল পরিষেবা, বিমান যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। আগামীতে আরও উন্নয়ন হবে এই অঞ্চলে। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনেও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের আরও বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়যুক্ত করতে হবে। আর সেটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যবাসীর অন্যতম উপহার। এদিন দলের সাংগঠনিক বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুতে পূর্বতন সরকার এবং বিরোধীদের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

(Feed Source: news18.com)