ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে হত্যার পর বৃহস্পতিবার লেবাননের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মরিস সেলিমের গাড়িবহরে গুলি চালানো হয়। এ সময় তার গাড়িতে দুটি গুলি লাগে। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। সেলিম অল্পের জন্য পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সেলিম একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে নিশ্চিত করে যে তার কনভয়কে বৈরুতের নিকটবর্তী হাজমেহতে গুলি করা হয়েছে, কিন্তু ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেননি।

লেবাননের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেলিম হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে, ঘোবেরির নিকটবর্তী শহরতলিতে, হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর একজন সদস্যের জন্য একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি বুধবার খ্রিস্টান শহর কাহলেহের একটি পাহাড়ে তার ট্রাক উল্টে মারা গিয়েছিলেন। ট্রাকটি অস্ত্র ও অন্যান্য গোলাবারুদ বোঝাই ছিল এবং সেটি উল্টে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে সংঘর্ষ শুরু হয়। (এপি)

ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা

লেবাননে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গুলি করার আগেই বুধবার ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফার্নান্দো হত্যার পর থেকে শহরের পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজধানী কুইটোতে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে ফার্নান্দোকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর জরুরি অবস্থা জারি করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ইকুয়েডরে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনী জনসভা ও বক্তৃতা এই দিনগুলোতে ছিল পুরোদমে।

(Feed Source: indiatv.in)