মজা করেই করিয়েছিলেন DNA পরীক্ষা! রিপোর্ট আসতেই অন্ধকার হয়ে গেল চারপাশ, কেন জানেন

মজা করেই করিয়েছিলেন DNA পরীক্ষা! রিপোর্ট আসতেই অন্ধকার হয়ে গেল চারপাশ, কেন জানেন

ধারাবাহিকের আঙিনায় DNA পরীক্ষার ছড়াছড়ি। সেখানে জটিলতা আনতে কাহিনীকাররা অনেক সময়ই সন্তানের জন্মপরিচয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেন। তা গড়ায় DNA পরীক্ষা পর্যন্ত। কিন্তু তাই বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন আলোচনা!

তেমনই ঘটছে Reddit-এ। জানা গিয়েছে, ইউরোপের এক যুবক তাঁর পরিচয় নিয়ে হঠাৎই সন্দিহান হয়ে পড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানতে চান তাঁর কী করা উচিত! পাশে দাঁড়িয়েছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারাও। ভার্চুয়ালি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, ওই যুবক তাঁর Reddit হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন নিজের জীবনের কাহিনী। তিনি ব্রিটেনের বাসিন্দা। মা, বাবা, দু’টি বোন নিয়ে সুন্দর সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার। ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, এক সময় দারিদ্র্যের সঙ্গেও লড়েছেন তাঁরা। তারপর তাঁর বাবার ব্যবসা ফুলে ফেঁপে ওঠে। তাঁদের জীবন বদলে যায়। নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান। কিন্তু একদিন তাঁর জীবনে এল একটা বড় ধাক্কা।

বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে করতেই তিনি DNA টেস্ট করিয়ে ফেলেন। রিপোর্ট আসার পর হতবাক। ওই যুবকের বাবা-মা উভয়ই ইউরোপীয়। কিন্তু পরীক্ষায় জানা যায় তাঁর জিনের অর্ধেক ইউরোপীয় এবং অর্ধেক এশিয়ান- ভারত বা চিনের মতো।

এরপরই ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তাঁর গায়ের রঙ তাঁর বাবা, মা বা বোনেদের মতো সাদা নয়। তবে এই বিষয় নিয়ে এর আগে তিনি কখনও ভাবেননি। কখনও ভাবেননি তাঁর জিনের চরিত্রই আলাদা।

এমন পোস্ট পড়ার পর থেকেই উত্তাল নেটদুনিয়া। অনেকেই বলছেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করা উচিত তাঁর। যদিও ওই ব্যক্তি সরাসরি নিজের মা-কেই কাঠগড়ায় তুলতে চান। তিনি দাবি করেছেন, বাবার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি হেসে উড়িয়ে দেন। মা আবার তাঁকে মেসেজ করে বকে বলেছেন, এসব নিয়ে না ভেবে পড়াশোনায় মন দিতে। তারপর থেকে তিনিও আরও নিশ্চিত মা কিছু লুকোচ্ছেন। পড়ায় মন দিতে পারছেন না।

যদিও তিনি বলেন তাঁর বাবা-মা ১৮ বছর বয়স থেকে একসঙ্গে থাকেন। তাহলে তাঁর বাবা অন্য কেউ কীভাবে হতে পারেন! শুধু তাই নয়, ওই পোস্টে নিজের প্রিয় বাবাকে হারিয়ে ফেলার কষ্টের কথাও বলেছেন তিনি।

এই প্রেক্ষিতে অন্য ব্যবহারকারীরা তাঁকে খোলাখুলি মায়ের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেছেন। আবার অনেকে বলেছেন, এসব কথা না ভেবে সুন্দর পরিবারটিকে নিয়ে আনন্দে থাকতে হবে।

আবার অনেকে বলছেন, জিন যে ওই প্রজন্ম থেকেই বাহিত হয়েছে, দোষ যে শুধু বাবা-মায়ের এমন তো নাও হতে পারে। এমন হতেই পারে অন্য কোনও প্রজন্মে মিশ্রণ ঘটেছিল। কোনও পরিবারের তরফে কাউকে দত্তক নেওয়াও হয়ে থাকতে পারে।

(Feed Source: news18.com)