‘এরা সিসি ক্যামেরা লাগাতে দেয় না’, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সিপিএমকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর

‘এরা সিসি ক্যামেরা লাগাতে দেয় না’, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সিপিএমকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Student Death) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সিপিএমকে আক্রমণ (CPM) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। বললেন, ‘এরা মার্কসবাদী, কখনও বিজেপির সঙ্গে, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করে। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগাতে দেয় না।’ তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্য, ‘নিহত ছাত্রের বাবা আমার কাছে বিচার চেয়েছেন। অত্যাচার করে ছেলেটাকে উপর থেকে ছুড়ে ফেলে হয়েছে। যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর।’ সঙ্গে সংযোজন, ‘যাদবপুরে পড়াশোনা ভাল হতে পারে, কিন্তু পড়াশোনায় ভাল হলেই মানুষ হয় না। এই জন্যই আমি যাদবপুরে যেতে চাই না।’

বিজেপির প্রতিক্রিয়া…
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও বলেন, ‘যাদবপুরে যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটায়, তারাই দেশবিরোধী স্লোগান দেয়। এই ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।’ তবে সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘১২ বছর ক্ষমতায় থেকেও তৃণমূল সরকার কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং বন্ধ করতে পারল না? র‍্যাগিং বন্ধে বামেদের ভূমিকাই বা অতীতে কী ছিল?’ সব মিলিয়ে পড়ুয়ামৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সিসিটিভি কেন লাগানো ছিল না, সেটা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। এদিন এই জন্য সরাসরি বিরোধী শিবিরের দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী।

তদন্তে আর যা…
এদিকে পড়ুয়ামৃত্য়ুর তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল এই অভিযোগে আলাদা করে এফআইআর দায়ের হয় আজ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গত ৯ তারিখ রাতে ফোন পেয়ে হস্টেলে গিয়েও ঢুকতে বাধা পেয়েছিল পুলিশ। ভিতর থেকে মেন গেট বন্ধ ছিল, এই মর্মে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। গেট বন্ধ থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পারেনি পুলিশ। উপর থেকে কী অবস্থায় পড়েছিল ছাত্র? জানতে পারেনি সেই কথাও! হস্টেল থেকে হলুদ ট্যাক্সি অনুসরণ করে হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু কেন মেন গেট বন্ধ করে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল? নেপথ্যে কারা ছিলেন? তদন্তের পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে শোকজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। নজরদারির অভাব-সহ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে, সূত্রের খবর। ছাত্রের মৃত্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জবাব তলব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। শোকজ করেছে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন-ও। কেন অমান্য করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ইউজিসির নির্দেশিকা? ২দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাব তলব কমিশনের।

(Feed Source: abplive.com)