কলকাতা: প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার দুপুরে এআইডিএসও ও টিএমসিপির পড়ুয়াদের মধ্যে তুমুল বিবাদ শুরু হয়। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় অরবিন্দ ভবনের সামনে। সংঘর্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজন্যা হালদার। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অসুস্থ হয়ে পড়েন বামদের বেশ কিছু কর্মীও।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তুমুল বচসা শুরু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ টিএমসিপির। এমনকী তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সমর্থকদের মহিলা সদস্যদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। একুশের মঞ্চে নজরকাড়া ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদারের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বচসার জেরে তাঁর আঘাতও লাগে। যদিও বাম সংগঠনগুলি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এআইডিএসওর সমর্থকরা জানান, এদিন জিবি মিটিং চলছিল। তখনই টিএমসিপির কিছু বহিরাগত কর্মী ঢুকে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে।টিএমসিপির পাল্টা দাবি, এআইডিএসওর সমর্থকরা তাদের ডেপুটেশন দিতে বাধা দেয়। বিকাল গড়ালেও অশান্তি চলতে থাকে। রাজন্যা হালদারকে কেপিসি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
যাদবপুরে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে। তৃণাঙ্কুরের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। অশালীন আচরণই শুধু নয়, রাজন্যার জামা ছিঁড়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।