পুরনো আইফোন আছে? Apple-এর থেকে পেতে পারেন পাঁচ হাজার টাকা

পুরনো আইফোন আছে? Apple-এর থেকে পেতে পারেন পাঁচ হাজার টাকা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ৬, ৭ মডেল ব্যাবহারকারী নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহক অ্যাপলের থেকে প্রায় ৬৫ ডলার (যা ভারতীয় টাকায় প্রায় ৫ হাজার টাকা) পেতে চলেছে। অ্যাপল বাজারে তাদের নতুন মডেলের ফোনের চাহিদা বাড়াতে আইফোন ৬, ৭ মডেলের ফোন গুলোর পুরানো ব্যাটারির সমস্যাগুলি সমাধানের নামে ফোনের গতি কমিয়ে দিয়েছিল, বলে অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে একটি ক্লাস অ্যাকশন মামলাও হয়েছিল। এই মামলা সমঝোতা করতে সম্মত হয়েছে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। মামলা নিষ্পত্তি করতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে অ্যাপল।

ক্ষতিপূরণ প্রাপকের তালিকায় আইফোন মডেলের মধ্যে রয়েছে আইফোন ৬, ৬ প্লাস, ৬এস, ৬এস প্লাস, এবং আইফোন ৭ এবং ৭ প্লাস। মামলার নিষ্পত্তি হিসাবে অ্যাপল ৩ মিলিয়নেরও বেশি দাবিদারকে ৩১০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে গ্রাহকদের কত টাকা দেওয়া হবে, তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। অনুমান করা হচ্ছে গ্রাহকেরা সম্ভাব্য প্রায় ৬৫ ডলার করে পেতে পারেন। তবে, যে ব্যবহারকারীরা ৬ অক্টোবর,২০২০ এর আগে তাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করেননি, তারা আর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য নন।

২০১৮ সালে অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে ফোনগুলির ব্যাটারি ৩০ শতাংশের বেশি থাকলেও নিজে থেকেই সেগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।

আইফোনের হার্ডওয়্যার যন্ত্রের স্থায়িত্ব দীর্ঘমেয়াদি হলেও কয়েক বছরের মধ্যে এর কার্যক্ষমতা ধীরগতির হতে শুরু করে—স্মার্ফোনটির ব্যবহারকারীরা এমনই অভিযোগ করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। নতুন মডেলের আইফোন বাজারে এলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পুরনো আইফোনের সফটওয়্যারগত কার্যক্ষমতা ধীরগতির করে দেয়। এর ফলে ব্যাবহারকারীরা বাধ্য হয় নতুন ফোন কিনতে। এই পন্থা অবলম্বন করেই নতুন মডেলের ফোনের বাড়ার দখল করে অ্যাপল।

২০১৬ সালে অ্যাপল স্বীকার করেছিলো যে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে পুরানো আইফোনগুলির গতি মন্থর করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপল যুক্তি দিয়েছে যে তারা ফোনগুলিকে হঠাৎ বন্ধ হওয়া থেকে বিরত রাখতে এমনটি করেছে , ফোনগুলি খারাপ করে দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। তবে আদালতে অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ভুক্তভুগীরা এখন ক্ষতিপূরণের অপেক্ষায়।

(Feed Source: hindustantimes.com)