মুর্শিদাবাদ: সম্পত্তির ভাগ পাবে সৎ ভাই। এই আশঙ্কায় ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর মাঠ থেকে উদ্ধার হল কিশোরের মৃতদেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য নওদা থানার আলমপুর এলাকায়। মৃতের নাম শাহিন সেখ (১১)।
পরিবারের অভিযোগ, সম্পত্তির ভাগ পেতে সৎ দাদা মাইনুল সেখ শাহিনকে খুন করেছে। খবর পেয়ে নওদা থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত মাইনুল সেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, দাদা মইনুলকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মাস তিনেক আগে নওদা ত্রিমোহিনী চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহিন সেখের মা অঞ্জলি বিবি মজিবুর সেখের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করে। গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল অঞ্জলি বিবির আগের পক্ষের ছেলে শাহিন সেখ। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও খোঁজ না পাওয়ায় নওদা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে পরিবারের লোকেরা। পরিবারের লোকেরা অভিযোগ তোলে বাবা মজিবুর সেখ দ্বিতীয় বিয়ে করায় সম্পত্তির ভাগ পাবে সৎ ভাই শাহিন। সেই আশঙ্কাতেই মজিবুর সেখের ছেলে মাইনুল সেখ সৎ ভাই শাহিন সেখকে খুন করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মাইনুলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপর বুধবার সকালে নওদা থানার আলমপুর এলাকায় মাঠ থেকে উদ্ধার হয় শাহিনের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। ঘটনায় শোকের ছায়া মৃতের পরিবারজুড়ে। মৃত শাহিন সেখের মাসি ভিঞ্জরা বিবি বলেন, ‘আমার বোন দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। শাহিনের সৎ দাদা মাইনুল সেখই খুন করেছে। আমি চাই পুলিশ ওকে কঠোর শাস্তি দিক। মৃতের আত্মীয় সঞ্জয় সেখ বলেন, বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় সম্পত্তির ভাগ যাতে সৎ ভাই না পায় সেইকারনে শাহিনকে মজিবুর সেখের ছেলে মাইনুল সেখ খুন করেছে। পুলিশ ওকে গ্রেফতার করে তদন্ত করছে। আমি চাই পুলিশ উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’
(Feed Source: news18.com)