আচমকা ফোনে এসেছে ‘এমার্জেন্সি অ্যালার্ট’? এটা ভুয়ো কিছু নয় তো? ফোন হ্যাক যায়নি তো? বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজেদের একটি মেসেজ পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। কেউ-কেউ তো ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষায় মেসেজ পান। তবে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সেই বার্তা পাঠানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘূর্ণিঝড়, প্রবল বৃষ্টি, ভূমিকম্প, সুনামির মতো কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা জরুরি অবস্থার সময় মোবাইলের মাধ্যমে দেশের মানুষকে সতর্ক করার পাঠানোর জন্য যে পরীক্ষা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সকলে সেই মেসেজ পাননি। কেউ-কেউ সেই মেসেজ পেয়েছেন।
ওই মেসেজে কী আছে? ওই মেসেজে বলা হয়েছে, ‘এটি একটি স্যাম্পেল টেস্টিং মেসেজ, যা সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে পাঠাচ্ছে ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন দফতর। দয়া করে এই মেসেজ এড়িয়ে যান। কারণ আপনাদের কিছু করতে হবে না। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে পুরো ভারতে এমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করার জন্য এটা পরীক্ষামূলকভাবে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতির সময় জনগণের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং নিয়মতো সতর্কবার্তা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে।’
কেন্দ্রের টেলিকমিউনিকেশন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে সেই পাঠানো হবে। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিপর্যয়ের সময় সেই সতর্কবার্তা পাঠানো হবে, তা ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে কিনা, সেটা দেখতেই পরীক্ষামূলকভাবে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে টেলিকমিউনিকেশন দফতর। যেরকম মেসেজ গত ২০ জুলাই পেয়েছিলেন অনেকে।
আর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে পরীক্ষামূলকভাবে এখন যে সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তা পশ্চিমবঙ্গের অনেকে আগেই পেয়েছেন। চলতি বছর জুনেই যখন তাপপ্রবাহ চলছিল, সেইসময় কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দাদের অনেকের ফোনে একটি মেসেজ এসেছিল। তাতে লেখা ছিল, ‘কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৬-৭ জুনের মধ্যে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে। দিনেরবেলা দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকা এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে থাকুন সুস্থ থাকুন।’
আবার ইংরেজিতেও কখনও কখনও এরকম বার্তা পেয়ে থাকেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। একটি বার্তায় যেমন বলা হয়েছিল, ‘Heavy to very heavy rainfall very likely to occur at N and S 24 pargana thunderstorm with lightning and gusty winds (speed 30-40 km ph) all are advised to avoid going to areas face the water logging problems and avoid staying in vulnerable structure follow traffic advisories before leaving for destination।’
(Feed Source: hindustantimes.com)