‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জয়, মোবাইল উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জয়, মোবাইল উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত

বিশ্বজুড়ে মোবাইল উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময়কালে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি মোবাইল ফোনের উৎপাদন দুই বিলিয়ন, অর্থাৎ ২০০ কোটি ছাড়িয়েছে। গ্লোবাল রিসার্চ ফার্ম কাউন্টারপয়েন্টের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারত বছরে ২৩ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মোবাইল ফোনের রফতানি করেছে। দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা বৃদ্ধি, ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং কৌশলগত সরকারি সহায়তা এই বিপুল পরিমান উৎপাদনকে সম্ভব করেছে, এমনিই যোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে ভারত এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী হিসেবে উঠে এসেছে। স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার ফেজড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোগ্রাম (পিএমপি), মেক ইন ইন্ডিয়া, প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই), এবং আত্ম-নির্ভর ভারত (স্বনির্ভর ভারত) সহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ চালু করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই স্কিমগুলি অভ্যন্তরীণভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে৷

কাউন্টারপয়েন্টের রিসার্চ ডিরেক্টর তরুণ পাঠক বিশেষ ভাবে তুলে ধরেছেন, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর ধরে স্থানীয় উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ২০২২ সালে ভারত থেকে যে সকল মোবাইল ফোন রফতানি হয়েছে, তার ৯৮ শতাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হয়েছিল। ২০১৪ সালে বর্তমান সরকারের সূচনাকালে এটি ছিল মাত্র ১৯ শতাংশের কাছাকাছি। মধ্যবর্তী বছরগুলিতে মোবাইল ফোন উৎপাদনের ব্যাপক বৃদ্ধি চোখে পড়ার মতোই ঘটনা।

মোবাইল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে শেষ পর্যায়ে ভারতের প্রবণতা অত্যন্ত ইতিবাচক। ক্রমবর্ধমান উৎপাদনের ধারা বজায় রেখে উন্নতির লক্ষ্যে চলেছে দেশের মোবাইল সেক্টর। এর পরিস্থিতিতে একটি ‘সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপোর্ট হাব’ হিসাবে গড়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন পরিসরের স্কিমগুলিকে কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। মিস্টার পাঠক আরও বলেন, ‘আগামীতে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে আমরা ক্রমবর্ধমান উৎপাদন দেখতে পাব। বিশেষ করে ভারতের শহর ও গ্রামীণ ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইড দূর হতে চলেছে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন রফতানির পাওয়ার হাউসে পরিণত হতে চলেছে ভারত।’ কাউন্টার পয়েন্টের সিনিয়র বিশ্লেষক প্রাচীর সিং তাদের রিপোর্টে জানিয়েছেন, এই ক্রমবর্ধমান উন্নতির পেছনে সরকারি পদক্ষেদগুলির কথা।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী ভারত আগামীতে মোবাইল ও অন্যান্য সেমিকন্ডাক্টিং ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রাখতে চলছে বলেই সূত্রের খবর।

(Feed Source: hindustantimes.com)