আতঙ্কে পড়ুয়ারা হস্টেল ছাড়ছেন, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবে JU কর্তৃপক্ষ

আতঙ্কে পড়ুয়ারা হস্টেল ছাড়ছেন, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবে JU কর্তৃপক্ষ

কলকাতা: যাদবপুরের হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার জেরে একের পর এক আবাসিক হোস্টেল ছাড়ছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে। যত সংখ্যক আবাসিক হস্টেল নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাড়ি চলে গিয়েছেন। তাদেরকে এবার হোস্টেলে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, যেসব আবাসিক হোস্টেল ছেড়ে গেছেন, তাঁদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আতঙ্ক কাটিয়ে হস্টেলে আবাসিকরা যাতে দ্রুত ফেরেন সেই আর্জি রাখা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। বাড়ির লোকেদের ভয় কাটাতে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিনিধিরা যাবেন পড়ুয়াদের বাড়িতে বাড়িতে। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করছে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য দুটি হস্টেল বরাদ্দ ছিল। তার মধ্য একটি হস্টেলে কার্যত রান্না বন্ধ। অন্য আরেকটি হোস্টেলে খুব কম সংখ্যক পড়ুয়ার রান্না হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বাড়ির লোকেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকিয়ে নিয়ে ও পড়ুয়াদের নিয়ে এসে মনস্তত্ত্ববিদদের সঙ্গে কাউন্সেলিং করানো হবে। প্রথম বর্ষের আবাসিকদের মধ্যে ভয়-ভীতি কাটাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা হস্টেল ছেড়ে গেছেন, বেশিরভাগই বিভিন্ন জেলা শহরাঞ্চল ও গ্রাম থেকে আসা পড়ুয়ারা।

অন্যদিকে, যাদবপুর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে বলে সূত্রের খবর। এদিন ধৃত সৌরভ-সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে জেরা করেন খোদ কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। কমিশনারের ঘরে এদিন বিকালে জেরা করা হয় অভিযুক্তদের। সূত্রের খবর, সেই জেরাতেও ধৃতদের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। এদিন ধৃত সৌরভ চৌধুরী, অঙ্কন সর্দার, নাসিম, হিমাংশু ও সত্যব্রতকে জেরা করেন কমিশনার নিজেই।

(Feed Source: news18.com)