কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ঘটনার রাতে কোনও র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি৷ ওই ছাত্র নিজেই তিন তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ মেরেছিল৷ তাঁরা গরিব বলেই তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে৷ শান্ত গলায় প্রিজন ভ্যানে বসে এমনই দাবি করলেন অভিযুক্ত ছাত্র সৌরভ চৌধুরী৷
প্রিজন ভ্যানের ভিতরে বসে সৌরভ দাবি করেন, ‘‘মিথ্যে ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে৷ আমরা কোনও অপরাধী নয়, আমরা কোনও অপরাধ করিওনি৷ আমরা গরিব বলে বিচার পাচ্ছি না৷ আমরা বিচার চাই৷ ন্যায্য বিচার চাই৷’’
এরপরে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সেদিন রাতে ছাত্রটির সঙ্গে কী করা হয়েছিল, সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, সৌরভের সাফ উত্তর, ‘‘কোনও র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি৷’’ তাহলে তিন দিনের মাথায় এসে হস্টেলে ছেলেটি মারা গেল কীভাবে? সৌরভের উত্তর, ‘‘হস্টেলের করিডর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে, এটুকুই আমাদের চোখের সামনে ঘটেছে৷’’ এর পাশাপাশি, সৌরভের দাবি, ওই ছাত্রের উপরে কোনও মানসিক নির্যাতন করা হয়নি৷
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সর্বপ্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল এই সৌরভ চৌধুরীকে৷ সৌরভ অঙ্ক বিভাগের স্নাতকোত্তরের প্রাক্তনী৷ পাশ করে যাওয়ার পরেও মেইন হস্টেলে থাকতেন তিনি৷ সৌরভই মৃত ছাত্রের বাবাকে জানিয়েছিলেন গেস্ট হয়ে মেইন হস্টেলে থাকা যায়৷ সূত্রের খবর, আরেক ধৃত মনোতোষ ঘোষের গেস্ট হিসাবেই হস্টেলে থাকতে শুরু করেছিল ওই ছাত্র৷