১১ অগস্ট বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল সানি দেওল ও আমিশা পাটেলের গদর ২। ওই একই দিনে মুক্তি পায় অক্ষয় কুমার ও পঙ্কজ ত্রিপাঠি-র ওএমজি ২ ছবিখানাও। তবে একেবারে শুরুর দিন থেকেই ব্যবসায় অনেকখানি এগিয়েছিল গদর ২। প্রথম সপ্তাহান্তের শেষে ছবির আয় ছিল ২৮৪.৬৩ কোটি। যেখানে ওএমজি ২ পেরোতে পারেনি ৭ দিনে ১০০ কোটির ঘরই।
দ্বিতীয় সপ্তাহে এসেও কড়া মোকাবিলার মুখে পড়তে হয়নি ‘গদর ২’কে। কারণ তার প্রতিপক্ষে তখনও সেই ওএমজি ২-ই। অভিষেক বচ্চনের ঘুমর মুক্তি পেলেও ছবি পায়নি ব্যবসায়িক সাফল্য। ফলে বেশিরভাগ দর্শক টিকিট কেটে হলে ‘গদর ২’ দেখতেই ভিড় জমিয়েছেন। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে ছবির আয় হয় ১৩৪.৪৭ কোটি। অর্থাৎ দুই সপ্তাহ মিলিয়ে ৪০০ কোটির ঘর টপকে গিয়েছে ছবিখানা। এার লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ কোটি। তাহলেই ভেঙে ফেলা যাবে ‘পাঠান’, ‘বাহুবলী ২’-এর মতো সিনেমার রেকর্ড। সর্বোচ্চ উপার্জনকারী হিন্দি ছবি হিসেবে নিজের জায়গাও করে নিতে পারবে।
যদিও সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে আয়ুষ্মান খুরানার ‘ড্রিম গার্ল ২’। অন্তত শুক্রবারের বক্স অফিস রিপোর্ট বলছে একঢাক্কায় অনেকখানিই পড়ল গদর ২-এর আয়। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার যেখানে ছবি ঘরে তুলেছে যথাক্রমে ১২.১, ১০ ও ৮.৪০ কোটি, সেখানে শুক্রবার ছবি আয় করল মাত্র ৬.৭০ কোটি।
এদিকে আয়ুষ্মান খুরানা ও অনন্যা পাণ্ডের ‘ড্রিম গার্ল’ খাতা খুলল ৯.৭০ কোটি দিয়ে। যা খুব একটা মন্দ নয়। ছবির রিভিউ ও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ভালো থাকলে শনি ও রবিবারে এই অঙ্ক একধাক্কায় বেড়ে যাবে। অন্তত ওএমজি ২-এর ক্ষেত্রেই তাই হয়েছে। আর যদি তাই হয়, তাহলে বড় ধাক্কা খাবে গদর ২-ও। সেক্ষেত্রে শাহরুখের পাঠানের রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন হয়তো থেকে যাবে অধরাই।
তবে ৪০০ কোটির ঘরে ঢোকার পরই দর্শকদের ধন্যবাদ জানাতে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছিলেন সানি দেওল। যাতে দেখা যায় গদর ২-এর এরকম অভাবনীয় সাফল্যে কেঁদেই ফেলেন তিনি। ভিডিয়ো বার্তায় ধর্মেন্দ্র-পুত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের সবার গদর ২ ভালো লেগেছে দেখে আমি খুব খুশি। আমি কোনওদিনও ভাবিনি এমনটা হবে। আমরা ৪০০ কোটি পেরিয়ে গিয়েছি এবং আরও দূর যাব। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু আপনাদেরই জন্য। আপনাদের ভালো লেগেছে ছবি। আপনাদের ভালো লেগেছে তারা সিং আর সাকিনা আর পুরো গদর পরিবারকে।’
(Feed Source: hindustantimes.com)