অনুবাদ করবে ‘ভাষিণী’! ভুলে যাবেন Google Translator, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নতুন উড়ান

অনুবাদ করবে ‘ভাষিণী’! ভুলে যাবেন Google Translator, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নতুন উড়ান

ভারতীয় ভাষায় সাবলীল অনুবাদ এবার আরও একধাপ এগোতে চলেছে। Google-এর অনুবাদ পরিষেবার বিকল্প হিসেবে ‘ভাষিণী’-র কথা ভাবছে ভারত সরকার। চলতি বছরই এই প্ল্যাটফর্মটির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার ভারত সরকার তার ডিজিটাল ইন্ডিয়া পরিকল্পনা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সেই ভাষিণী-কেই অন্তর্ভুক্ত করেতে চলেছে। এজন্য প্রায় ১৪,৯০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ধার্য করা হয়েছে।

সম্প্রতি জি-২০ ডিজিটাল ইকোনমি ওয়ার্কিং গ্রুপ মিনিস্টারস মিট-এ এই প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ‘ভাষিণী’ তৈরি করছি, একটি এআই চালিত ভাষা অনুবাদ প্ল্যাটফর্ম। এটি ভারতের সমস্ত বৈচিত্র্যময় ভাষাকে ডিজিটাল মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করবে।’

দাবি করা হয়েছে, ভাষিণী এমন টুল, যা কৃত্রিম মেধা চালিত এবং বহু ভাষা অনুবাদ করতে সক্ষম। এখনও পর্যন্ত দশটি প্রধান ভারতীয় ভাষা নিয়ে কাজ করতে পারে এই প্ল্যাটফর্মটি। শীঘ্রই ২২টি সরকারি ভাষা এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই প্রকল্পটি ভারত সরকারের বৃহত্তর ‘জাতীয় ভাষা অনুবাদ অভিযান’-এর অঙ্গ।

ভাষিণী কী—

আসলে এর মূল লক্ষ্যই হল একটি ভারতীয় ভাষাকে অন্য ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা। মেশিন ট্রান্সলেশন, অটোমেটিক স্পিচ রিকগনিশন, অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন, টেক্সট টু স্পিচ প্রভৃতি উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্মটি।

পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকরা যাতে তাঁদের নিজেদের ভাষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন, সেই বিষয়েই সাহায্য করবে এই দেশীয় প্ল্যাটফর্ম।

এই মুহূর্তে সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী কিছু অ্যাপ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় ব্রাউজ করার অনুমতি দেয়। তবে সব ভাষায় এই পরিষেবা পাওয়া যায় না। আবার সমস্ত অনুবাদও স্বচ্ছন্দ নয়। ইংরেজির আধিপত্য রয়েছে।

ইংরেজির পরিবর্তে দেশীয় ভাষা ব্যবহারের পাশাপাশি ভিন প্রদেশের ভাষা বুঝতেও সাহায্য করবে ভাষিণী। কেউ চাইলে হিন্দি থেকে তেলুগু বা বাংলা থেকে মণিপুরিতে অনুবাদ করে ফেলতে পারেন, তাও রিয়েল-টাইম-এ।

এই প্ল্যাটফর্মটির উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন স্টার্টআপ, প্রযুক্তি সংস্থা, প্রকাশক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যক্তি মানুষকে একত্রিত করা। বর্তমানে, ‘অনুবাদ’ নামে একটি টুল পাওয়া যায়, এটি ‘টেক্সট’ এবং ‘স্পিচ’ অনুবাদ করে দিতে সাহায্য করে।

এটি ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক (NKN)-এর আধুনিকীকরণের দিকেও নজর দিচ্ছে। এতে প্রায় ১৭৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুক্ত। প্রায় ১২ কোটি কলেজ পড়ুয়ার জন্য সাইবার-সচেতনতা কোর্সও রয়েছে।

ভাষিণী নিজেকে উন্নত করার জন্য ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের থেকে তথ্য সংগ্রহ করার কাজও করছে।

(Feed Source: news18.com)