তেজস্ক্রিয় জলে চীন-জাপান: আবারও চীন ও জাপানের মধ্যে বিরোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার কারণ হলো জাপানের নির্গত তেজস্ক্রিয় পানি। সম্প্রতি জাপান পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে ‘তেজস্ক্রিয়’ পানি ছেড়েছে। এরপর থেকেই ক্ষিপ্ত চীন। জাপান থেকে আসা ‘সি ফুড’ আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন। এ ব্যাপারে চীন থেকে জাপানে হুমকিমূলক ফোন করা হচ্ছে। এ নিয়ে উত্তেজনায় আসা জাপান আপত্তি জানিয়েছে। জাপান সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, চীনের এই মনোভাব একেবারেই ভুল।
চীন হুমকিমূলক ফোন করছে
জাপান বলেছে, পানি ছাড়ার পর থেকে চীন বেশ কয়েকটি হুমকিমূলক ফোন কল করেছে। জাপান বলেছে, চীনের এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চিকিত্সা করা তেজস্ক্রিয় জল মুক্তির বিষয়ে চীন থেকে হয়রানির বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “চীন থেকে আসা হয়রানিমূলক ফোন কলগুলি গভীরভাবে দুঃখজনক এবং আমরা উদ্বিগ্ন।”
2011 সালে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে পারমাণবিক কেন্দ্র বিস্ফোরিত হয়
বৃহস্পতিবার ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে সমুদ্রে পানি ছাড়তে শুরু করেছে জাপান। জাপানের সময় অনুযায়ী দুপুর ১টা ০৩ মিনিটে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। জাপান টাইমস জানায়, প্রথম দিনে প্রায় দুই লাখ লিটার পানি ছাড়া হয়েছে। বারো বছর আগে 2011 সালে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর থেকে সেখানে তেজস্ক্রিয় পানি জমেছে ১৩৩ কোটি লিটার।
দৈনিক ৫ লাখ লিটার তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার পরিকল্পনা
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা আইএইএ সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এক হাজার স্টেইনলেস স্টিলের ট্যাঙ্কে রাখা 133 কোটি লিটার জল একবারে নয়, 30 বছরের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রতিদিন ৫ লাখ লিটার তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে মিশে যাবে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্রে এর প্রভাব কমানোর জন্য এমনটি করা হয়েছে।
তেজস্ক্রিয় পানি জমা হয় ১৩৩ কোটি লিটার
বারো বছর আগে 2011 সালে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর থেকে সেখানে তেজস্ক্রিয় পানি জমেছে ১৩৩ কোটি লিটার। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, সেখানে সঞ্চিত জলে 500টি অলিম্পিক আকারের সুইমিং পুল রয়েছে।
(Feed Source: indiatv.in)