চাঁদে গিয়েছে চন্দ্রযান, মঙ্গলের পথে ১০ লাখ মানুষ! মাস্কের নয়া প্ল্যান প্রকাশ্যে

চাঁদে গিয়েছে চন্দ্রযান, মঙ্গলের পথে ১০ লাখ মানুষ! মাস্কের নয়া প্ল্যান প্রকাশ্যে

চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে সফল ভারত৷ চন্দ্রযান৩-এর সাফল্য মহাকাশ নিয়ে পৃথিবীর মানুষের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চাঁদের পর এবার সূর্যের পথে আদিত্য-L1 পাঠাবার পরিকল্পনা ইসরোর৷ চাঁদ, সূর্য ছাড়াও মঙ্গলের প্রতি মানুষের বহুদিনের আগ্রহ৷ ভারতের ‘মিশন মঙ্গল’ আগেই সফল৷ পৃথিবীর প্রতিবেশি গ্রহ মঙ্গল নিয়ে বিজ্ঞানীদের প্রবল উৎসাহ৷ সেখানে ভবিষ্যতে কি মানুষের বসতি গড়া সম্ভব? এসব প্রশ্নের মাঝেই এলন মাস্ক কয়েকলক্ষ মানুষকে মঙ্গলে পাঠাতে চান৷

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী NASA-র বৈজ্ঞানিক ড: মিশেল থ্যালার জানিয়েছেন মঙ্গলে মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়৷ কিন্তু SpaceX-এর কর্ণধার এলন মাস্কের পরিকল্পনা অন্যরকম৷ ২০৫০ সালের মধ্যেই ১০ লক্ষ মানুষকে মঙ্গল গ্রহে পাঠাতে চান তিনি৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন মাস্ক৷

মঙ্গলে মানুষের পৌঁছতে লাগবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি৷ এই প্রসঙ্গে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ‘নাসা’ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ‘আমরা এ বিষয়ে এখনও কিছুই ভাবিনি৷’ পৃথিবীর পড়শি হলেও মঙ্গলে পৌঁছনোর পথে আছে অসংখ্য বাধা৷ সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দূরত্ব৷ প্রায় ৩৪ মিলিয়ান মাইল পথ পাড়ি দিতে হবে৷ দূরত্ব বেশি হলে ক্রুদের বেঁচে থাকা এবং তাদের নিরাপদে ফিরে আসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়৷ র্তমানে নাসার রোভার গ্রহের পাতলা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে অক্সিজেনে রূপান্তর করছে। যাতে মহাকাশচারীরা এটি ব্যবহার করতে পারে৷ তবে বেঁচে থাকার জন্য আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷

মঙ্গলে বেঁচে থাকবার একটি বড় বাধা হল রেডিয়েশন। NASA-র পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ‘যাত্রীদের বেঁচে থাকার জন্য, সুরক্ষিত থাকার জন্য যদি আমরা সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা করি, তাহলেও মঙ্গলের মাটিতে পৌঁছনোর রেডিয়েশনেই মারা যাবে মানুষ৷’’ বর্তমান প্রযুক্তির সাহায্যে মঙ্গল গ্রহে যাওয়া এবং মহাকাশচারীদের রক্ষা করা কঠিন হবে। কারণ সৌর শিখা এবং কোরোনাল মাস ইজেকশন (CMEs) থেকে বিকিরণের কারণে মানুষ সেখানে পৌঁছানোর অনেক আগেই মারা যাবে মানুষ।

নাসার মতে,‘ মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ অত্যন্ত প্রতিকূল। পৃথিবীর বিপরীতে, মঙ্গল গ্রহের একটি খুব পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে এবং শক্তিশালী কণাগুলিকে বিক্ষেপিত করার জন্য কোনও চৌম্বক ক্ষেত্র নেই৷ তাই আমাদের মহাকাশচারীদের বিকিরণের দুটি উত্স থেকে রক্ষা করার জন্য উচ্চমানের প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে৷’ রেডিয়েশেনের এই শক্তিশালী কণা যেসব জিনিসের সঙ্গে ধাক্কা খায়, সেই বস্তুর মধ্যে থাকা পরমাণুকে ভেঙে ফেলতে সক্ষম৷

ইতিমধ্যেই লাল গ্রহে যেসব মহাকাশযানগুলি পাঠানো হয়েছে সেগুলি মঙ্গলের আবহাওয়া, পৃষ্ঠের অবস্থা এবং অবতরণ কৌশল সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করেছে। নাসা জানাচ্ছে যে, মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধান এবং চাঁদে যাত্রা পরস্পর সংযুক্ত। চাঁদে মহাকাশের বিভিন্ন প্রযুক্তির পরীক্ষা করা যায়। এই সকল প্রযুক্তির ব‍্যবহার পরবর্তীকালে মঙ্গলের ক্ষেত্রেও করা যেতে পারে।

(Feed Source: news18.com)