জাল ফেললেই ইলিশ! টন-টন রুপোলি শস্য বাংলাদেশে, তবু দামের ঠ্যালায় চোখে সর্ষেফুল

জাল ফেললেই ইলিশ! টন-টন রুপোলি শস্য বাংলাদেশে, তবু দামের ঠ্যালায় চোখে সর্ষেফুল

ভাবা যায়! একবারে টন টন ইলিশ। মানে ইলিশের খরা কেটেছে। এখন শুধু ইলিশ আর ইলিশ। বাংলাদেশে এখন ইলিশের মরসুম। একাধিক নদী থেকে ধরা পড়ছে রুপোলি শস্য। কক্সবাজার থেকেও ধরা পড়েছে প্রচুর ইলিশ। গত ১৫দিনে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে। কিন্তু এই যে হাজার হাজার টন ইলিশ ধরা পড়ছে বাংলাদেশে। তবে কি সেখানে জলের দর?

বিষয়টি একেবারেই তেমন নয়। তবে সূত্রের খবর, কক্সবাজার থেকে কিন্তু প্রচুর ইলিশ সে দেশের অন্য প্রান্তে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তবুও দাম কমছে না। ১ কেজির থেকে বেশি ওজনের ইলিশের দাম দাঁড়াচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। কারণটা কী?

দেখা যাচছে কক্স বাজারের ফিশারিঘাটে ১ কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৬০০-৬৫০ টাকা প্রতি কেজি। আবার একটু মাঝারি সাইজের ইলিশ মানে ধরুন ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের দাম পড়ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অর্থাৎ হরে দরে প্রায় ১০০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশের দাম দাঁড়াচ্ছে। মধ্যবিত্তের কাছে এই দরে ইলিশ কেনা বেশ কষ্টের। আর গরিব মানুষের কাছে ইলিশ খাওয়াতো কার্যত স্বপ্নের মতো হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতে অনেকের মধ্য়েই ক্ষোভ বাড়ছে। কারণ এভাবে যদি ইলিশের দাম বাড়ে তাহলে মানুষ মরসুমে তো একবারও ইলিশ খেতে পারবে না। একেবারে ডবল দাম!

কেন এত দাম?

আসলে অভিজ্ঞ মহলের মতে, কয়েকটা হাত ঘুরে তারপর ইলিশ ক্রেতাদের হাতে যাচ্ছে। আর যতবার ঘুরছে ততবার ইলিশের দাম বাড়ছে। ট্রলার আর ক্রেতার মাঝে অনেকগুলো ধাপ। সেই সঙ্গেই ট্রলার মালিকরা প্রচুর টাকা দাদন নিয়ে ট্রলার বের করেছেন। সেই টাকা শোধ করার জন্য তারা যে যেমন পারে দাম হাঁকছেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। তাদের ভাগ্যে আর ইলিশ খাওয়ার সাধ মিটছে না।

(Feed Source: hindustantimes.com)