ভারতীয় যুবক সচিন মীনার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন চার সন্তানের মা সীমা হায়দার। অবৈধভাবে সীমান্ত টপকে তিনি পাকিস্তান থেকে সোজা ভারতে। এরপর এখানে বিয়ে করেছেন। চার সন্তানকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। এদিকে ভারতে আসার পর থেকেই যেন সীমার কপাল ফিরতে শুরু করেছে। সীমার প্রেমকে ঘিরে সিনেমাও তৈরি হচ্ছে। আবার সিনেমায় অভিনয় করার অফারও পেয়েছেন সীমা। আর এসবকে ঘিরে একেবারে রেগে লাল সীমার পাকিস্তানি স্বামী গুলাম হায়দার।

সিনেমার পরিচালক অমিত জানির উপরে বেজায় খাপ্পা গুলাম হায়দার। তিনি জানিয়েছেন, ভালো বিষয়ের উপর সিনেমা তৈরি করো। কারোর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কেন সিনেমা তৈরি করছ? শুধু রাজনীতির জন্য এসব করছে।

লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রে খবর, এখানেই থামার পাত্র নন গুলাম। তিনি জানিয়েছেন, আপানারা তো জানেন সচিন-সীমার বিয়ে আমি মেনে নিইনি। আপনারা ভালো করেই জানেন ডিভোর্স না দিয়ে কোনও মহিলা যদি পরপুরুষের সঙ্গে থাকে তবে তাকে কী বলে। আমি সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। শুধু ওরা ফিরে আসুক। আর কিছু চাই না।

সেই সঙ্গেই সীমার প্রেম নিয়ে সিনেমা বানানোর এই উদ্যোগকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না সীমার পাকিস্তানি স্বামী। আসলে স্বামীকে ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছেন সীমা। এরপর থেকেই সীমার উপর রেগে খাপ্পা তাঁর পাকিস্তানি স্বামী।

তবে ভারতে নতুন পরিবার, নতুন স্বামী, নতুন জায়গায় ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছেন সীমা। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গেও তিনি নিজেকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন। রাখি বন্ধন উৎসবেও অংশ নিয়েছিলেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে পুজোপাটও করছেন। জয় শ্রীরামও বলছেন। আর সিনেমায় নামা প্রসঙ্গে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, ইউপি এটিএসের সায় ছাড়া তিনি সিনেমায় নামতে চান না।

তাঁর দাবি, পাবজি খেলতে গিয়ে সচিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। এরপর তিনি ভারতে চলে আসেন। সেখানে সচিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। চার সন্তানকে নিয়ে তিনি পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন আর পাকিস্তানে ফিরতে চান না তিনি।

(Feed Source: hindustantimes.com)