‘বেঁচে আছি কিনা যাঁরা জানতে চান, তাঁদের বলি সব ঠিকঠাক’, ভাইরাল ওয়াগনার-প্রধানের ভিডিও

‘বেঁচে আছি কিনা যাঁরা জানতে চান, তাঁদের বলি সব ঠিকঠাক’, ভাইরাল ওয়াগনার-প্রধানের ভিডিও
কলকাতা: ‘আমি বেঁচে আছি নাকি শেষ, কী করছি, আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী চলছে, রোজগার কী ভাবে–এ সব যাঁরা জানতে চান, তাঁদের বলি সব ঠিকঠাক রয়েছে’, বলছেন ওয়াগনার (Wagner Chief Yevgeny Prigozhin) প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। অন্তত তেমনই দেখা যাচ্ছে একেবারে হালে ভাইরাল একটি ভিডিওয় (Viral Video)। গত সপ্তাহে একটি বিমান দুর্ঘটনায় আরও ৯ জনের সঙ্গে মৃত্যু হয় রাশিয়ার এই ভাড়াটে সেনা সংগঠনের প্রধানের। তার পর থেকে তীব্র আলোড়ন আন্তর্জাতিক মহলে। ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহই’ কি কাল হল প্রিগোজিনের, চলতে থাকে এই আলোচনাও। তার মধ্যে ওয়াগনার প্রধানের এই ভাইরাল ভিডিও। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের ধারণা, ভিডিওটি মৃত্যুর কিছু দিন আেগেই তোলা হয়েছে।

কী জানা গেল?
ভিডিওটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছে ওয়াগনার গোষ্ঠী। ‘ক্যামোফ্ল্যাজ’ পোশাক, সঙ্গে হ্যাট আর ডান হাতে ঘড়ি–এমন সাজগোজেই দেখা গিয়েছে প্রিগোজিনকে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, তিনি যে পোশাক ও সাজগোজে এই ভিডিওটি করেছেন, সেই সাজগোজের সঙ্গে গত ২১ অগাস্ট প্রকাশ্যে আসা প্রিগোজিনের আরও একটি ভিডিওর মিল রয়েছে। তবে এই হালের ভিডিওটি যে আফ্রিকায় তোলা, সে কথা নিজেই জানিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান। বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ভক্তদের যাঁরা জানতে চান, আমি বেঁচে আছি নাকি মারা গিয়েছি, তাঁদের জানাই  অগাস্টের অর্ধেক শেষ এখন। সপ্তাহান্তের এই সময়টা আফ্রিকায় রয়েছি।’সঙ্গে  আরও বলেন, ‘আমি বেঁচে আছি নাকি শেষ, কী করছি, আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী চলছে, রোজগার কী ভাবে–এ সব যাঁরা জানতে চান, তাঁদের বলি সব ঠিকঠাক রয়েছে।’ ট্যুইটারে তুমুল তোলপাড় ফেলেছে এই ভিডিও। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর উপদেষ্টা ভিডিওটি ট্যুইটারে দেন। সেখান থেকেই জল্পনা দানা বেঁধেছে। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে যদি সত্যিই এই ভিডিও শ্যুট করা হয়, তা হলে তাতে হঠাৎ এই ধরনের মন্তব্য কেন করলেন প্রিগোজিন? তবে কি তিনি কোনও ভাবে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন?

মৃত্যু যে ভাবে…
কানাঘুষো চলছিল জুন মাস থেকে। সব কিছু মিটমাট হয়ে গেলেও ভাড়াটে সেনাদের ‘বিদ্রোহ’ কি ভুলে যেতে পারবেন রুশ প্রেসিডেন্ট? সেই ঘটনার ঠিক দু’মাসের মাথায় ভয়ঙ্কর বিমান বিপর্যয়ে পড়েন’বিদ্রোহী’ ভাড়াটে সেনা সংগঠনের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। রাশিয়ার দাবি, দুর্ঘটনায় ‘ওয়াগনার’ প্রধানের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ক্র্যাশ সাইট থেকে ৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়। যে ক’জন বিমানে ছিলেন, তাঁদের কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই, দাবি করে সবকটি রুশ নিউজ এজেন্সি। বিমান-দুর্ঘটনার নেপথ্য়ে ‘অন্য কোনও’ কারণ রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তারা নীরব ছিল তারা। যদিও খবরটি শোনার পর থেকে জুন মাসের সেই বিদ্রোহ নিয়ে আলোচনা চলছে নানা মহলে। ক্রেমলিন সমস্ত জল্পনা, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে।

(Feed Source: abplive.com)