চোপড়ার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হামিদুল রহমান এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের গোষ্ঠীর বিবাদ অনেক দিনের। দলীয় সূত্রে খবর, এর জেরেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইসলামপুরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের, ২৩টি আসনের মধ্যে কাউকে প্রতীক দেয়নি দল।
সব আসনেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত নির্দলরা
সূত্রের দাবি, তাঁর মধ্যে ১২ জন হলেন কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর এবং ১১ জন হলেন বিধায়ক হামিদুলের অনুগামী। কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর দুই জয়ী প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগে, এখনও পর্যন্ত বোর্ড গঠন হয়নি এই পঞ্চায়েতে। দলীয় সূত্রে খবর, এদিন সেই দু’জন গোপন ডেরা থেকে পালিয়ে আসেন। তাঁরা যখন দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময়ে কাপরাঙা গ্রামে তাঁদের লক্ষ্য করে হামিদুল গোষ্ঠী আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
এ দিনের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে যোগাযোগ করা হলেও, ফোন ধরেননি তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। ইসলামপুরে গুলিবিদ্ধ ২ তৃণমূল কর্মী তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ, কটাক্ষ বিজেপির।
ইসলামপুরের ঘটনার ২০ ঘণ্টা আগে, ডালখোলায় গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক
বুধবার সন্ধে ৭টা নাগাদ, গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তৈবুর রহমান। অভিযোগ, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান প্রিন্স আহমেদ। যিনি, ডালখোলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা হাজি ফিরোজ আহমেদের ভাইপো। একটি গুলি যুবকের হাতে ও অন্যটি গাড়ির কাচে লাগে।
ওই ঘটনায় এদিন আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তৃণমূল নেতার ছেলে প্রিন্স আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অরিন্দম সরকার বলছেন, পুলিশের কাজ অনুশাসন বজায় রাখা, সেই কাজটা সঠিকভাবে ডালখোলায় পুলিশ করেছে। কারও কাছে যদি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করবে, সঠিক কাজ করেছে। ক্রিমিনাল হলে সরকার জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী। দুই ঘটনার সঙ্গে যেমন রাজনীতি জুড়ে গেছে, তেমনই ২১ ঘণ্টার মধ্যে জোড়া শ্যুটআউটে, প্রশ্ন উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও।
(Feed Source: abplive.com)