কোনও দলের বায়নাতেই পিচের চরিত্র বদল নয়, ইডেনের কিউরেটরকে বলে গেলেন আইসিসি প্রতিনিধি

কোনও দলের বায়নাতেই পিচের চরিত্র বদল নয়, ইডেনের কিউরেটরকে বলে গেলেন আইসিসি প্রতিনিধি
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ক্রিকেটে ড্রপ ইন উইকেটের অভিনবত্ব ঘটেছিল তাঁর হাত ধরে। বাইরে থেকে রেডিমেড উইকেট তুলে এনে ম্যাচের আগে মাঠের নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে দেওয়া। ব্যাস। তারপরই শুরু হয়ে যাবে ধুন্ধুমার ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ।

ইংল্যান্ডের সেই অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন (Andy Atkinson) এখন আইসিসি-র (ICC) পিচ কমিটির প্রধান। শুক্রবার তিনি ঘুরে গেলেন ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens)। যে মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) একটি সেমিফাইনাল-সহ মোট পাঁচটি ম্যাচ হবে। তার আগে ইডেনের বাইশ গজ ও মাঠ পর্যবেক্ষণ করে গেলেন অ্যাটকিনসন। সেই সঙ্গে ইডেনের কিউরেটরকে দিলেন পরামর্শও।

ইডেনের পিচ এমনিতে এখন দেশের অন্যতম সেরা। গত আইপিএলেও ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সঙ্গে যুগ্মভাবে দেশের সেরা উইকেটের স্বীকৃতি পেয়েছে। ইডেনের বাইশ গজ দেখে খুশি অ্যাটকিনসন। যিনি শেষবার ইডেনের পিচ দেখেছেন ২০১৬ সালে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। মাঝে কেটে গিয়েছে সাত বছর। আর এই সাত বছরে ইডেনের পিচের চরিত্র সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এক সময় যে পিচে বল পড়ে বনবন ঘুরত, যেখানে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন কখনও হরভজন সিংহ, তো কখনও সুনীল নারাইনের মতো স্পিনার, সেই বাইশ গজেই এখন বাড়তি বাউন্স। বল পড়ে সাঁ সাঁ ছোটে। পেসাররা উইকেট দেখে রীতিমতো প্রলুব্ধ হন। আবার স্ট্রোক প্লেয়ারদেরও স্বর্গভূমি। বল পড়ে ব্যাটে ভালভাবে আসে বলে টাইমিং হয়। একটা সময় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে পিচে ১৪০ ছিল জেতার মতো রান, সেখানেই এখন হরদম দুশো ওঠে।

এই পরিবর্তন দেখে অবাক অ্যাটকিনসনও। ইডেনের কিউরেটরের কাছে জানতে চেয়েছেন, কীভাবে উইকেটের এই বদল ঘটিয়েছেন। ইডেনের কিউরেটর তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পিচ কমিটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিনিধি সুজন মুখোপাধ্যায় এবিপি লাইভকে বলছিলেন, ‘অ্যাটকিনসন পিচ দেখে দারুণ খুশি। জানতে চাইলেন, কীভাবে পিচের চরিত্র বদল ঘটেছে। বারমুডা ঘাস লাগানো থেকে শুরু করে মাটি বদল, সব বিষয়ই ওঁকে জানিয়েছি। উনি ভীষণ সন্তুষ্ট। ইডেনের পিচ বিশ্বকাপেও স্পোর্টিংই হবে। ব্যাটার-বোলার, সকলের জন্যই সমান সাহায্য় থাকবে। ভাল ক্রিকেট দেখা যাবে।’

আইসিসি-র প্রধান কিউরেটর কি কোনও পরামর্শ দিলেন? সুজন বললেন, ‘অ্যাটকিনসন সব কিছু খুঁটিয়ে জেনেছেন। তবে বিশ্বকাপের আগে পিচে কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ করাতে বারণ করেছেন।’

ইডেনের পিচ ইদানীং বেশ সবুজই থাকে। স্পিনাররা আর আগের মতো ম্যাচের ভাগ্য নিয়ন্তা হয়ে উঠতে পারেন না। বরং ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য বেড়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপে যদি ঘাস ওড়ানোর আব্দার আসে? জানা গেল, কোনও অবস্থাতেই পিচের চরিত্র বদল করতে নিষেধ করেছেন অ্যাটকিনসন। ভারত এই মাঠে গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলবে। আয়োজক দেশ যদি ঘাস ওড়ানোর বায়না করে? শোনা গেল, কোনওভাবেই পিচের নিজস্ব চরিত্র বদল করা যাবে না, জানিয়ে দিয়েছেন আইসিসি-র কিউরেটর।

(Feed Source: abplive.com)