অক্সিজেন-২৮, নতুন আইসোটোপের হদিশ দিলেন জাপানের বিজ্ঞানীরা

অক্সিজেন-২৮, নতুন আইসোটোপের হদিশ দিলেন জাপানের বিজ্ঞানীরা

জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউশন অফ টেকনোলজি বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক বিদ্যার জগতে নতুন এক মাইলস্টোন স্থাপন করলেন। টোকিও ইনস্টিটিউশন অফ টেকনোলজির পারমাণবিক পদার্থবিদ ইয়োসুকে কোন্ডোর নেতৃত্বে পদার্থ বিজ্ঞানীদের একটি দল অক্সিজেনের একটি নতুন আইসোটোপ অক্সিজেন-২৮ আবিষ্কার করলেন। অক্সিজেন-২৮-এর ক্ষেত্রে এর পরমাণু নিউক্লিয়াসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিউট্রনের সন্ধান মিলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, অক্সিজেন-২৮ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত অক্সিজেনের সব থেকে ভারী সংস্করণ। অক্সিজেন-২৮ আবিষ্কার তাই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতে পারমাণবিক পরীক্ষা ও তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথপ্রদর্শন। অক্সিজেন-২৮ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ গবেষণা পত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল, নেচার পত্রিকায়।

গবেষক দলের বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি পরমাণু নিউক্লিয়াসে প্রোটন এবং নিউট্রন নিয়ে গঠিত নিউক্লিয়ন নামক একটি সাবঅ্যাটমিক কণা থাকে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটি উপাদানের পারমাণবিক সংখ্যা এটির প্রোটন সংখ্যা দ্বারাই সংজ্ঞায়িত হয়, কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা পরিবর্তিত হতে থাকে। বিভিন্ন নিউট্রন সংখ্যার উপাদান আইসোটোপ নামে পরিচিত, যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় অক্সিজেনের ক্ষেত্রে আটটি প্রোটন রয়েছে, তবে বিভিন্ন সংখ্যক নিউট্রন থাকতে পারে। এর আগে বিজ্ঞানীরা অক্সিজেন-২৬ এর আইসোটোপে ১৮ টি নিউট্রনের সন্ধান পেয়েছিলেন।

জাপানের গবেষক দলের মতে, অক্সিজেন-২৮ পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে, তার কারণ এর প্রোটন সংখ্যা ৮ এবং নিউট্রন সংখ্যা কুড়িটি। উভয় সংখ্যাই ম্যাজিক ফিগার হওয়ায় বিজ্ঞানীরা উচ্ছ্বসিত। এই আবিষ্কারটির ফলে জাপান পারমাণবিক পদার্থবিদ্যার জগতে নেতৃত্ব স্থানীয় গবেষক বেশ হিসাবে স্থান পেল। আগামীতে বিজ্ঞানীদের নজর থাকবে এই অক্সিজেন-২৮ আইসোটোপটি বিজ্ঞানের জগতে আর কোন কোন পথের হদিশ খুলে দেয়। এছাড়াও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই বা এর কোনও ব্যবহার হতে পারে কিনা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে। তবে জাপানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।