মহাকাশ গবেষণায় মাইলস্টোন, সৌরজগতের বাইরে ৫৫০০টি গ্রহ চেনাল নাসা

মহাকাশ গবেষণায় মাইলস্টোন, সৌরজগতের বাইরে ৫৫০০টি গ্রহ চেনাল নাসা

আমাদের সৌরজগতের বাইরেও রয়েছে বিরাট মহাবিশ্ব, ও অসংখ্য গ্রহ নক্ষত্র। এ বিষয়ে বহু আগেই নিশ্চিত করেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা কিন্তু সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত গ্রহগুলি সম্পর্কে বিষদ তথ্য এবং তার সংখ্যা নিশ্চিত করে বলতে পারছিলেন না তারা। ১৯৯০ সাল থেকে সঠিক অভিমুখে শুরু হয় সেই কাজ। অনিশ্চয়তা কাটিয়েই বিজ্ঞানীরা কয়েক দশকের মধ্যে প্রায় ৫৫০০ টি এক্সোপ্ল্যানেট নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।

সৌরজগতের বাইরের বিশাল মহাবিশ্বকে বোঝার জন্য এই এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার ও নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ‘এক্সোপ্লানেট’ শব্দটির সাহায্যে সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত অন্যান্য নক্ষত্র মন্ডল-এর গ্রহগুলিকে বোঝানো হয়। নতুন করে ছয়টি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা ৫৫০০টি এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পাওয়ার লক্ষ্যমাত্র স্পর্শ করেছে।

মাত্র একত্রিশ বছর আগে ১৯৯২ সালে প্রথম সৌরজগৎ বহির্ভূত এই গ্রহগুলির নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, যখন বিজ্ঞানীরা পালসার পিএসআর বি১২৫৭+১২ কে প্রদক্ষিণরত যমজগ্রহ পলটারজেস্ট ও ফোবেটরকে সনাক্ত ছিলেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিজ্ঞানীরা পাঁচ হাজার এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। আর এই বছর সেই সংখ্যাটা পৌঁছল ৫ হাজার ৫০০ তে। সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানীরা নতুন ছয়টি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছেন। এগুলি হল যথাক্রমে HD 36384 b, TOI-198 b, TOI-2095 b, TOI-2095 c, TOI-4860 b, and MWC 758 c।

এর মধ্যে HD 36384 b গ্রহটি বৃহস্পতি গ্রহের বড় সংস্করণ বলা চলে। এই গ্রহটি রেডিয়াল মোশান পদ্ধতি ব্যবহার করে আবিষ্কৃত হয়েছে। বৃহদায়তন এম নক্ষত্রের নক্ষত্র মন্ডলের অন্তর্গত এই গ্রহটি। TOI-198 b আরেকটি নতুন আবিষ্কৃত গ্রহ। এই গ্রহটি পাথুরে ধরনের বলেই মনে করা হচ্ছে। এই গ্রহটি ট্রানজিট পদ্ধতির মাধ্যমে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে এক্সপ্ল্যানেটগুলিকে সনাক্ত করা যায়, যখন তারা তাদের কক্ষপথে নক্ষত্রের সামনে দিয়ে অতিক্রম করে।

এছাড়া TOI-2095 b, TOI-2095 C এই গ্রহ দুটি বেশ বড় আকৃতির। এই দুটিও ট্রানজিট পদ্ধতির মাধ্যমে আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। এই গ্রহগুলির সঙ্গে সৌরজগতের শুক্র গ্রহের খানিক মিল রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে শেষ পর্যায়ে আবিষ্কৃত সকল গ্রহগুলি বামন গ্রহ। প্রসঙ্গত নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (TESS) ২০১৮ সালে প্রথম চালু হয় এবং মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই হাজার হাজার এক্সো প্লানেট সনাক্ত করে এবং ৩২০টিরও বেশি গ্রহ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।

(Feed Source: hindustantimes.com)