না ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘রাজ’ শত্রু, থেমে গেল রঙিন জীবন

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘রাজ’ শত্রু, থেমে গেল রঙিন জীবন

লন্ডন: আবারও মৃত্যুসংবাদ, সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না৷ একের পর একে সকলে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন৷ প্রয়াত হলেন মহম্মদ আল ফায়েদ৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর৷

কিশোর বয়সে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার রাস্তায় বিক্রি করতেন সোডা৷ এই কিশোরই একদিন লন্ডনের আভিজাত্যের প্রতীক হ্যারডস কিনে নিয়েছিলেন৷ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারেই জন্ম মহম্মদ আল ফায়েদ৷ তবে ভাগ্যের চাবিকাঠি ঘুরিয়ে দিয়েছিল জীবনের মোড়৷ জীবনের পরবর্তী সময়টা ব্রিটিশ রাজপরিবারেই কাটিয়েছেন তিনি৷ তাবড় তাবড় তারকাদের সঙ্গে এক সারিতে বসেই সময় কাটাতেন তিনি৷ অবশেষে রঙিন জীবনের অবসান হল ইংল্যান্ডের কান্ট্রি হাউসে৷

সৌদি অস্ত্র কারবারি আদনান খাশোগির বোনকে বিয়ে করেছিলেন আল ফায়েদ৷ সেই সূত্রেই ধনকুবেরদের সংস্পর্শে আসেন তিনি৷ লন্ডনের রিজেন্ট পার্কে সেন্ট্রাল মসজিদে মিশরের ধনকুবের মহম্মদ আল ফায়েদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে৷ ফায়েদ পরিবারের নিজস্ব সমাধিক্ষেত্রে অকাল প্রয়াত ছেলে ডোডির পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য,মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় সোডা বিক্রি করা ছেলেটির আচমকা উত্থানের গল্প চমকে দেওয়ার মতো৷

সাতের দশকে ব্রিটেনে চলে আসার পর ১৯৭৫ সালে প্যারিসের আইকনিক রিৎজ হোটেল কিনে নেন৷ তারপর ১৯৮৫ সালে ভাই আলির সঙ্গে কেনেন লন্ডনের বিশ্ববিখ্যাত হ্যারডস কিনে নেন৷ তারপরেই ফুটবল লিগের তৃতীয় সারিতে নেমে যাওয়া ফুলহ্যাম ক্লাব কিনে বড় চমক দেন৷ দীর্ঘ পাঁচ দশক ইংল্যান্ডে থাকার পরও ব্রিটিশ পাসপোর্ট জোটেনি তাঁর৷ সারাজীবন এই আক্ষেপ ছিল মহম্মদের৷ অবশেষে ব্রিটিশ নাগরিক না হয়েও সেখানেই শেষ হল বর্ণময় জীবন৷

(Feed Source: news18.com)