গাফিলতি?
১৮ মাস আগে, অকল্যান্ড সিটি হসপিটালে সন্তানজন্মের সময় সিজারিয়ান সেকশন বা সি-সেকশন করা হয়েছিল ওই যুবতীর। সেই সময়ই সম্ভবত Retractor নামের যন্ত্রটি কাজে লেগেছিল। পরিবারের দাবি, যুবতীর সি-সেকশন হয়ে গেলেও কোনও ভাবে সেটি তাঁর পেটে থেকে যায়। শুধু তাই নয়। অপারেশনের পর যন্ত্রটির অস্তিত্ব কোনও ভাবে হাসপাতালের নজরও এড়িয়ে গিয়েছিল, দাবি পরিবারের। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সে দেশের হেলথ অ্যান্ড ডিসএবিলিটি কমিশনার মোরাগ ম্যাকডাওয়েল। বলেছেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এখানে নির্ধারিত মান অনুযায়ী চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি। এমনকি অপারেশনের প্রক্রিয়ার সময় যে খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ থাকে, সেটিও দেখা হয়নি। ফলে, যুবতীর পেটে ওই যন্ত্রটি থেকে যায়।’ এই নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশ্ন করা হয়েছিল। হেলথ অ্যান্ড ডিসএবিলিটি কমিশনার মোরাগ ম্যাকডাওয়েল বলেন, ‘কী ভাবে Retractor-টি তাঁর পেটে রয়ে গেল, এই নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই। কেন আগেই সেটি চিহ্নিত করা গেল, সেই নিয়ে জুৎসই জবাব দিতে পারেননি তাঁরা।’
কী ভাবে ঘটল?
সে দেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশের বক্তব্য, যন্ত্রটি আসলে ‘Alexis wound protector-retractor’। অপারেশেন বহুল ব্যবহৃত এটি। হেলথ অ্যান্ড ডিসএবিলিটি কমিশনারের রিপোর্ট জানাচ্ছে, যুবতীর সি-সেকশনের সময় প্রথমে একটি ছোট মাপের ‘Alexis wound protector-retractor’ ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে, সেই জায়গায় একই গোত্রের বড় মাপের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। সেই যন্ত্রটিই কোনও ভাবে পেটে দেখে গিয়েছিল। রোগী যন্ত্রণার ছটফট করা সত্ত্বেও সমস্যা নির্ধারণে দেরি হয় কারণ, এই যন্ত্রটি এক্স-রে-তে ধরা পড়ে না। পরে সিটি স্ক্যান করায় সেটির অস্তিত্ব নজরে আসে। নিউ জিল্যান্ডের হেলথ অ্যান্ড ডিসএবিলিটি কমিশনারের বক্তব্য, এই নিয়ে গত দু’বছরে দ্বিতীয় বার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কোনও যন্ত্র রোগীর দেহে হদিশ মেলার ঘটনা ঘটল।
(Feed Source: abplive.com)